জ্বরে থর থর গিঁড়ে ফোলার ঝড়- উঠিতেছে কম্পন
শিরশির যেন করিতেছে শরীর- থার্মোমিটারে একশ’ চার।


লাগিয়েছি গায়ে হাত খানি মোর- শরীরতো ঠিকই আছে?
খাটুনির ভয়ে উঠছোনা তুমি- যাচ্ছোনা আজ কাজে।
থর থর থর কাঁপিতেছো কেন? গায়েতো নেই তাপ
আলসেমি রাখ! কাজ করে আসো-
না হলে- উঠবেনা মুখে হাত।


করিতেছে ভয়, লাগিতেছে ডর- করি কি উপায়
চিকনগুনিয়া নামক মশা- মারিতেছে কামড় পায়।
লাগেনা ভাল, থর থর কম্পনে- কাঁপিছে যে গা
উঠিতে পারিনা- ছেড়ে বিছানা,
উপায় কি আছে বল?
পারিনা বসিতে- উঠিব কি করে-
বল নেই আজ শরীরে।


আগে ছিল ডেঙ্গু- হতো ম্যালেরিয়া
এসেছে এখন চিকনগুনিয়া
হঠাৎ করে শুনে- ভয় তুমি পেয়োনা।


ভাইরাস এটি এডিস ইজপ্টাই ও এডিস অ্যালবপ্টিকাস
আফ্রিকার রোগ এটি- এসেছে আজ বাংলায়
ছড়িয়েছে কামড়ে কামড়ে মানুষ থেকে মশারায়।


রিউমেটিকফেবারের মত গিড়ায় গিড়ায় ব্যথা
স্থানটি টিপিলে মনে হয় যেন- জল আছে প্রচুর সেথা।
ব্যথা মাথা জুড়ে জ্বালাপোড়া করে- হয় বমি বমি ভাব
শরীর চলেনা আর, কাশি হয় বেশী- সর্দি সর্দি ভাব।


জ্বর আপনার যদি না সারে- করুন পিসিআর টেস্ট
হাতে হাতে রোগ পড়িবে ধরা- চিকিৎসকের কাছে যান আগে।
সারিবে নিশ্চিত, ভয়ের কিছু নেই- খান প্যারাসিটামল
নিন বিশ্রাম বেশি বেশি করে- সেরে যাবে নিশ্চয়।
খেতে হবে তরল জাতীয় খাবার- সাথে প্রচুর প্রচুর পানি,
ফুলপ্যান্ট আর ফুল হাতা জামা পড়ে- প্রতিরোধ করুন এখনই।


করুন ধ্বংস জন্মস্থান মশাদের-
যেন করিতে না পারে- বৃদ্ধি প্রজনন
আবাস্থল ও আশপাশ করুন পরিষ্কার প্রতিদিন-
যেন না থাকে ভাঙা মাটির পাত্র।
যদি থাকে বালতি, ড্রাম ডাবের খোসাখানি-
উপুড় করুন সাথে সাথে- যেন, না জমে সেথায় পানি।


বাঁচতে যদি চান চিকুনগুনিয়া হতে-
আশপাশ পরিষ্কার- রাখতেই হবে।


(জুলাই ১৫, ২০১৭)