গত ২০/১১/২০১৭ তারিখের নিজ লেখা ‘স্মৃতির পাতায়’ শ্রদ্ধেয় কবিবর মোঃ সানাউল্লাহ্ (আদৃত কবি) সাহেবের মন্তব্যের প্রতিত্তোরে লেখা লেখনি।


গড়বর যদি না হয়- পড়বে কি আর মনে
মিষ্ট রসে জ্বিহ্বাটা- ভিজবে! আজ, কি করে।
শীত আসছে- রসালো হবে, মোদের জ্বিহবা
মনের সুখে খাবো বসে- পিঠা পুলির রসা।


মনে পড়ে পুরানো কথা- ঠাম্মার হাতের রস
ফেরোই করে খাওয়া- আর, দৌড়ে উঠোন পাড়।
মেজদা ছিলেন দয়ালু অতি- বললে শুনিতেন
উঠতেন গাছে, আনতেন পেড়ে- রসের রসালো হাড়ি।


শীতের দিনে গাঁয়ের পথে- হাঁটতে যেতাম ভোরে
আদর করে সোহাগ দিয়ে- দাদাভাই, নিতেন মোদের কোলে।
দাদার আদর, দাদার সোহাগ- ভুলিতে, আজও না পারি
স্মৃতি শুধুই দুঃখ দেয়- পড়লে, মনে আজি।


স্মৃতির ঘেরা সেদিনের কথা- আজ, পড়ছে খুব মনে
সেদিনের কথা ভাসলে চোখে- কষ্টে, ফাটে বুক।
দাদা ছিলেন অতিব গরীব- মনটা ছিল বড়
শীত এলেই গ্রাম হতে শহরের বাড়ী, আনতেন তিনি- খেজুর রসের হাড়ি।


আজ সেসব স্মৃতি হয়ে- চোখের উপর ভাসে
দাদার কথা পড়লে মনে, চোখের কোণে- অশ্রু নেমে আসে।


সময়কাল- সকাল ১১:২২ (নভেম্বর ২১, ২০১৭)


দৃষ্টি আকর্ষণ- উপরোক্ত লেখনিতে উল্লেখ আছে ‘আদর করে সোহাগ দিয়ে- দাদাভাই, নিতেন মোদের কোলে’। আমার সাথে আমার এক পিসতোতো ভাই (গৌরঙ্গ দাদা) ও ছিলেন সেই সময়, তাই ‘মোদের’ কথাটা উল্লেখ করেছি।