আমার বাড়ী মাগুরার কেশবের মোড়ে
শ্বশুর বাড়ী মহেশপুরের শ্যামকুড়েতে।
আমার শ্বশুর তিমির ঠাকুর- পিতার সমান
শালিশ নিয়েই কাটান তিনি- ব্যস্ত দিন-রাত
বৌয়ের নাম সাথী জানি- শালি বিথী রাণী
তিথি বুড়ি খেলে পুতুল- এটাও আমি জানি।
সুমিন্দিরা চারটি ভাই- সাতটি বোন তাদের
তিনটি গেছে শ্বশুর বাড়ী- চারটি পড়ে আছে।
একটি তাহার স্বপ্না রাণী- পড়ায় বেজায় ভাল
কাঁদা ছাড়া একজাম তার- ভালই লাগেনাকো।
পুতুল রাণী পুতুল খেলে- ছোট্ট পুতুল নিয়ে
পুতুল রাণী নিজেই যে এক- পুতুল সোনামণি।
শেখরদা ওই শিশি ব্যাচে- জল মিশিয়ে
দশের জায়গায় দু’শো নিবে- হাত বুলিয়ে।
নন্দ বাবু চালাক অতি- বেড়ায় ঘুড়ি ফিরি
কাজের ভয়ে পালান দেয়- মামাতো ভায়েরবাড়ী।
চনা বাবু কিপটে অতি- বাড়িই থাকেনা
বাজার গেলেও টিক্কিটা তার- চোখেই মেলেনা।
স্বপন পড়ে ন’কাসে- মহেশপুরে থাকে
ম্যাসে যে তার মন টেকেনা- শুধুই বাইরে ঘোরে।
মাধু দিদি ময়না থাকে- রমেন তাহার স্বামী
বড়দি তো বাপ্পীকে নিয়ে- আসছে এবার বাড়ী।
আরো আছে বৌদি মণি, কালচে গায়ের রং
দাঁতগুলো তার ছোট্ট বেগুন, ঠোঁটটি তাহার লাল।


(জানুয়ারী ০২, ২০১১)


বিঃদ্রঃ নিজে ও শ্বশুরবাড়ীর সকলকে নিয়ে আড্ডা দিতে গিয়ে এ লেখনিটি লিখেছিলাম। লেখনিটি শ্রুতি মধুর হয়নি তবুও আংশিক নিজ পরিচিতিটি আপনাদের পাঠের জন্য পোষ্ট করলাম। ভুলত্রুটি মার্জনীয়।