(প্রশ্নোত্তর ও শুদ্ধাচ্চারণে শব্দগঠন)


কবি কয় যা লিখে যায়- তাহাই ঠিক
যাহা বলি মুখে- তাই হয়, কাব্যিক ছন্দ।
কবির কবিতায়- শব্দ ঠিক ভুল বলে, কিছুই নেই
তাই, তর্কে পড়ি জড়িয়ে- অবশেষে
অবশেষে- হার মানে কবি।


বাঙালী বোঝে বেশি- তাই, তর্কে জড়িয়ে পড়ে
ঠিক বেঠিক জেনে- না জেনেই।
শুদ্ধ না হয় না হোক- লেখা, আমি যা লিখবো সেটাই ঠিক
বলি শোন হে কবি- আলিঙ্গণ বানানে যদি ণ হয়, তবে
অনুসন্ধান এ ণ কেন নয়- বলতে পারো?


না, জানা নেই- পড়ি নাই কখনও নত্ব বিধান বা স্বত্ব বিধান
আজকাল অবশ্য সরকারী আর ঈ নেই হয়েছে ই
তাই, বানান নিয়ে ভাববার সময় নেই
লিখতে হয়- তাই, লিখি।


না, কবি তুমি ভুল- তুমি ভুল লিখে যাচ্ছো
জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালছো- মুখে বললে হবে?
দেখাতে হবে না? দেখাও আঙ্গুল দিয়ে
কোনটি ঠিক আর কোনটি ভুল।
কি, বুঝলে তো? নাকি চোখে আঙ্গুল দিয়ে-
দেখাতে হবে।


হ্যাঁ দোকানী তুমি ঠিক-
তবে শুনলাম তুমিও না-কি?


হ্যাঁ বলুন শুনছি-
আমি কি?


শুনলাম তুমিও না-কি
লেখো।


হ্যাঁ লিখি- বাস্তবতার আলোকে, বাহ্যিক জ্ঞানের আলো জ্বালাতে
শিক্ষাকে উন্নত করতে- আর, নিজের হৃদয় উগড়ানো কিছু শব্দের ব্যবহারে
আমি কবি সাহিত্যিক নই, আমার নামের আগে নেই কবি
তাই, হতেও চাইনা কবি- আমি বাঁচতে চাই, কবিতার মাঝে
যেখানে নান্দনিকতার ছোঁয়ায় ছেয়ে আছে- অন্য আমেজের এক আনন্দাভুতি।


সেটা আবার কি?
বুঝলাম না-তো?


বুঝবেন কি করে হে কবি আমার- লেখেনতো দেখি যত ভুলের ছড়া
যা, পড়ে কাব্যিকতার ছোঁয়াইতো পাওয়া যায় না।
যা, পড়ে আনন্দ পাই না ছন্দের মিল খুঁজে পাইনা-
তাকে- কি বলা যায়, বলতে পারেন?


হ্যাঁ তুমিই ঠিক, তোমার ভেতরে- কাব্যিকতার স্বাদ পাচ্ছি যেন
আজ থেকে সময় পেলে বসবো- তোমার সাথে
কইবো কথা- সুরের ভেলায় ভাসবার জন্যে
যদি পাওয়া যায়- শিরোনাম বা লেখনির মূলযন্ত্র।


লেখনিতে উচ্চারণ- সঠিক হওয়া বাঞ্ছনিয়
তাই, শব্দের চয়ন সঠিকের জন্যে চাই-
একজন জ্ঞানি ও প্রতিভাবান কবির কাছে-
জ্ঞান আহরণের।


(নভেম্বর ১৯, ২০১৭)


নিজে ও স্থানীয় একজন শ্রদ্ধেয় ও বয়জেষ্ঠ কবি’র লেখা নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পরি। শব্দ ও শব্দের গঠন, মাধুর্যতা, পরিপুরুক ছন্দছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। তার লেখাগুলো যখন চোখে আঙ্গুল দিয়ে ধরিয়ে দিই, তখনই তিনি বুঝতে পারেন, আসলে সমস্যা কোথায়। সেদিনের সেই কথোপকথনের আংশিক তুলে ধরেছি মাত্র।


##                   ##                     ##


(ছেড়োনাকো তারে)


(শ্রদ্ধেয় কবিবর ডা. প্রদীপ কুমার রায় মহাশয়ের ২১/১১/২০১৭ তারিখের লেখনি ‘কবিতার আসরের বন্ধু’ পাঠ পরবর্তী মন্তব্য করতে গিয়ে কমেন্ট বক্সে লেখা লেখনি।)


মাত্রাতিরিক্ত মাত্রার কথা- শুনেছিলাম বেশ আগে
যখন আমি শিখতাম গান- সেই ছোট্ট বেলার দিনে।
আছে স্কুল, শেখায় কবিতা- পাঠ, করতে হয় কিভাবে
সেখানে কোন মাত্রা নয়- শেখায়, আবৃত্তি হয় কিভাবে করতে।


পিতার অনুপ্রেরণায় এসেছি- এ লেখনির ছাঁয়া তলে
লিখে চলি আসে মনে যাহা- করি অর্পণ পাতার তরে।
পাঠে, কেউ হয় তৃপ্ত- কেউবা হয়নি বলে, উচ্চ স্বরে গায় গান
হারিনি আমি হেরেছিল সে- লেখনি পাঠের মর্মশুধা, করেনিকো তিনি পান।
পাঠে যারা দিয়েছিল উৎসাহ- তাদের দেখাদেখি
লিখছি আমি- তাদের অনুপ্রেরণায়, আজও লিখি হৃদয়ের কথনগুলি।


তাই বলি ভাই- লেখো লেখো, যত পার তুমি
পান্ডিত্যের পন্ডিতিতে পড়ে- ছেড়োনাকো তারে।


(নভেম্বর ২১, ২০১৭)