ফুটপাতে খেটে খায়- গরীবের দল
চা আর পান বেঁচে- চলে সংসার।
উচ্ছেদ করে তারে- জ্ঞানি গুণিজন
চাওয়ালা পানওয়ালা- ভেবে পাইনা কূল।


শিশুদের উদরের- জ্বালা নাহি সয়
বাজারেতে ধরেছে আগুন- পিতা ভয় পায়।
শোনেনা তা শিশুদ্বয়- কাঁদিতে রয়
দাও মাগো ভাত মোরে- কচু ঘোটা সই।
আর মাগো সহেনা- পেটেরও জ্বালা
খুশি মনে দাও দেখি- কচু ঘোটাই খাই।


সৎ পথে খেটে খায়- শ্রমিকের দল
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে- রোজ কাজে যায়।
সংসার খরচায়- হিমসিম খায়
চুরি নাহি করে সে- পাছে ভয় পাই।


মরে গেছে তোর বাবা- রেখে গ্যাছে মোরে
এ জীবনও রাখিতামনা- সোনা, হতভাগা ওরে।
তোর কথা, যখন- মনে যায় পড়ে
মরতে না গিয়ে আমি- কাঁদতে থাকি ঘরে।
আয় বাবা কোলে আয়- দেখি, নয়নও ভরে
তুই ছাড়া নেই কেউ- দুনিয়ার তরে।


আয় বাবা এইনে- কচু ঘোটা খা
তোর মা গরীব অতি- কভু ভুলিসনা।
বড় হবি জ্ঞানি হবি- গুনি নয় কভু
গুনি লোক ভাল নয়- আমি বুঝি কিছু।
তোর বাবা দয়ালু ছিল- ছিল বড় ভাল
কাজ নেই বলে বলে- কোথা, হারিয়ে সে গেল।
একদিন শুনিলাম- গেছে নাকি মরে
ভয় লাগে সোনা বাবা- তোরে, মানুষ করিবো কি করে।


করিলাম প্রতিজ্ঞা আমি- তোরে, কবিবো বড়
বাঁধা হবে অনটন- অভাবগুলিও।
পিছপা? কভু নাহি হবো- করবো কামলার কাজ
থাকিস যদি কাছে তুই- ঠিক, করিবো মানুষ।


একদিন ঠিক হবি- তুই, অনেক বড়
সেবা দানে দিবি মুছে- জগতের সব কালো।
সাদা হবে গাধা নয়- জগৎ সংসার
করনা আজ প্রতিজ্ঞা বাবা- ঠিক রাখবি মান।


ঠিক দাঁড়ালো সেই খোকাটি- নিজেই নিজের পায়ে
এলাকার মানুষ তাকে- স্যালুট ঠুকে মরে।
বাবা ছিলেন পানওয়ালা- মা করতেন কামলা
ব্যারিষ্টার রূপে এলেন ফিরে- রাখতে মায়ের কথা।


(ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭)