বেশে ছিল ভাল, দাদা একটি মেয়েকে
নাম তার লগ্ন রাণী বাড়ী গোপালগঞ্জে।
পড়তো লগ্ন গোপালগঞ্জের একটি স্কুলে
আমার দাদা প্রায়ই করতো ফোন তাহার কাছে।


রাতের বেলায় স্বপ্নে তার তুলতো কত্তো ছবি
দিন রাত্রি চলত কথা ফোন হাতে করি।


লগ্ন এখন ঢাকায় থাকে- ঢাকার একটি ম্যাসে
আমার দাদা কয়না কথা- এখন কাহারো সাথে।
ভালবাসা ঠুনকো ছিল, আমার মেজ দাদার
তাইতো দাদা পারেনিকো রাখতে ধরে- তাহার।


লগ্ন এখন সুখে আছে- ঢাকা কলেজের বুকে
দুঃখি দাদা সারা দিন এদিক ওদিক থাকে।
দাদা যখন একা থাকে- দেখে লগ্নের ছবি
চোখ দিয়ে তার অশ্রু ঝরে- বালিশ ভেজায় খালি।
এখনো দাদা ভোলেনি তারে, ভুলিতে কি তাই পারে?
মাঝের প্রেম ভোলা! অত্তো সহজ ব্যাপার নহে।
আমার দাদার মন কাঁদে- মাঝের প্রেমের লাগি
কেউ বোঝেনা আমার দাদার- বকে খালি খালি।


করেছো প্রেম- তোমরা কেউ ?
প্রেমের কি বা জান।
প্রেম করেছে আমার দাদা
লগ্ন রাণীকেই।


(ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪)


বিঃদ্রঃ আমার এক পরিচিত বড় ভাই প্রেম করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। প্রায় দু’মাস সংসারও করেছিল।উক্ত বড় ভাইয়ের শ্বাশুড়ী মাতা মেয়েকে দেখতে এসে কয়েকদিন জামাইবাড়ী থাকেন ও যাবার প্রাক্কালে জামাই-মেয়েকে যেয়ে ঘুরে আসতে বলেন। মাসিমা চলে যাওয়ায় পরপরই বৌদিমনি কান্না শুরু করেন ও বাবার বাড়ীতে যাওয়ার বায়না করেন। যথাযথ নিয়মে ২০১৫ সালের জানুয়ারী মাসের ১৪ তারিখে বৌদিমনি বাবারবাড়ী যান কিন্তু আর ফিরে আসেন নি। তারই ধারাবাহিকতায় আমার এ লেখনি। ভুলত্রুটি মার্জনীয়।