কবিদের হিড়িক
সুধীর দাস
টাকা না দিলে কবি হবো না যতই করি চর্চা
যতই ঘাটি লেখালেখির রবি ঠাকুরের পর্চা
টাকা দিলেই হবো আমি বড় রকমের কবি
গ্রুপের এডমিনদের এখন কবি বানানো হবি।
ওপার বাংলার কবিরা সব এপার বাংলায় আসে
এপার বাংলার কবিরাও তাদের দারুন ভালোবাসে
এর মাঝে বড় রকম টাকা পয়সার হচ্ছে লেনদেন
হচ্ছে কবি রবীন্দ্রনাথ জীবনানন্দ বনলতা সেন।
এপার বাংলার কবিরাও ওপার বাংলায় গিয়ে
গলায় ঝুলায় কাব্য পদক ফুলের মালা দিয়ে
লেখালেখি যাই হোক কবির ভ্রমণ বিলাসী মনে
প্রেম প্রীতির ভালোবাসা থাকছে জনে জনে।
নাম শুনি নি কোনদিন টাইম লাইনে দেখিনি লেখা
তার কাছ থেকে পদক নেয়া কবিতার পাঠ শেখা
কবি সভার আবৃতি মাঝে কত ছবি তোলার ঢঙ
গলায় ঝোলানো পদক চাদর কতো রকম রঙ।
কাব্য পদক কাব্যজ্যোতি সেরা কবির ছড়াছড়ি
হেলে দুলে ঢেউ খেলে যায় কত রকম গড়াগড়ি
এসব কবির মাঝেও আমি হারিয়ে আছি বেশতো
লেখালেখির মূল ধারাটার নাই কোন লেশ তো!
তবুও আমি বড় কবি আজ মহাকবির জাত
ফেল মেরেছে আমার কাছে নজরুল রবীন্দ্রনাথ
যা লিখি তাই পদক পাই ঝড়ের বাদল লিরিকে
ভাতে মারি জাত কবিদের পদক পাওয়া হিড়িকে।
কলকাতা, ২৫ ডিসেম্বর-২২
তোমার ডাকে আমার সাড়া
সুধীর দাস
তোমার ডাকে আমার সাড়া দিতেই হবে
সাড়া দেবো না বলে
এমন নিষ্ঠুর হতে তো পারিনি আমি
এটাই তো পরিনতি!
উনুনে ভাত চড়াই উতরাই
তরকারি কাটাকুটি
গোধূলির পর সন্ধ্যা নামে
তুলসী তলায় প্রদীপ জলে
বাইরে মিছিল চলে ভূখা পেটের
মন্দিরে বাজে প্রার্থনা সংগীত
ও পাড়ায় মাইকে হরিনাম সংকীর্তন
এ পাড়ার বস্তির ঘরে তাসপাশা খেলা
তারপর অদূরে কান্নার রোল
কে যেন চলে গেছে শ্মশান যাত্রার পথে
তোমার ডাকে সাড়া দিয়ে!
আমার প্রার্থনার ঘন্টা বাজে মন্দিরে
তোমাকে ডাক দিয়ে যাই
তুমি কি সাড়া দাও হে অর্বাচীন?
স্বার্থপর!
অন্ধকার ঘরে পড়ে থাকি একা
তোমার ডাক এলেই আমি চলে যাবো
তার আগে তোমাকে ডাকছি
তুমি কাছে এসো, হাত ধরো
পাশে বসো
দুটো ভালোবাসার কথা কই!
২৮,১২,২২