আজকাল আর ছাতিমের গন্ধ বুঝি না
স্থবির মস্তিষ্ক শুধু ঘ্রাণ নিতে চায়
কিন্তু প্রিয়জন অথবা অন্য মানুষের মিথ্যা আশ্বাস জোর করে মন ভোলায়


এখন আর সামনের বারান্দাটা ভালো ঠাওর হয় না
প্রায় অন্ধ চক্ষু-দুই তবু বেশি করে দেখতে চায়
ঘোলাটে চশমার ফ্রেমে যেন একটা গা- জোয়ারি দৃষ্টি ধার পায়


জিহ্বার স্বাদকোরক বুঝি ফুরিয়ে গেছে, কোন স্বাদ যোগায় না
তেঁতো বিস্বাদ মুখ তবু শাকের মধ্যেও মাংসের স্বাদ পায়
দু- একটা আস্ত বাকি নকল দাঁত মিলেমিশে খাবার খায়


স্পর্শ কোন কালে মসৃণ ছিল জানি না, এখন নিজের অবয়ব খুঁজে পাই না  
খড়খড়ে হাতের তালু তবু সেই পুরনো ফ্রেম নিতে চায়
বারণ না মানা শুষ্ক চামড়া যেখানে সেখানে ঘষা খায়


আপনজনের খোঁজ সেই কবেই চলে গেছে, ছেলে মেয়ে খবর নেয় না
নিজের স্মৃতিও ধীরে ধীরে অস্তাচলে, তবু তোমাকে মাঝে মাঝে ফিরে পায়
সেই কবে চলে গেলে রাহুল- অর্চনার মা, আমার আত্মা যেন ঠিক তোমার পাশের জায়গাটা পায়


নামগুলোও এবার গুলিয়ে যায়, চেহারাগুলো আকার পায় না
তবু ওপরওয়ালার বিচারে সবার মিলন একজায়গায় ঠিকই হয়
চলে যাওয়ার দেশে 'অন্ত্যমিল' চাইলাম হে ঈশ্বর- এ প্রার্থনা যেন সাকার হয়।


(এক আশি অতিক্রান্ত বৃদ্ধের কথার প্রেক্ষিতে রচিত।)