“অসহায়ত্বের দিনরাত্রি”


পুতুলের ন্যায় ছোট্ট একটি মেয়ে!
চুলে লাল ফিতের ঝুঁটি, পায়ে নূপুর পড়ে সারা ঘর ছুটে  বেড়ায়।
কচি কচি হাত দিয়ে বাবার কুলে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে গলা।
একটু একটু করে ছোট্ট মেয়েটি পদার্পণ করে ২৬ বছর বয়সে!
ঘর শূন্য করে যাবার হাহাকার হৃদয়ে গোপন করে;
প্রতিটি বাবা করে কন্যা সম্প্রদান।
এই নিয়েই তো মধুর অবিচ্ছেদ্য বন্ধন!
……………………
বাবার ঘর ছেড়ে আপন করে নতুন মানুষগুলোকে।
সেই পরিবারে থাকে বাবার ন্যায় শ্বশুর; মায়ের ন্যায় শাশুড়ি।
প্রতিটি শ্বশুর কিংবা শাশুড়ি নেয়না আপন করে পুত্রবধূকে!
তবু কিছু শ্বশুর শাশুড়ি যারা পুত্রবধূকে কন্যারূপে আগলে রাখে।
নিয়তি কিংবা দুর্ভাগ্যবশত তাদের ভাগ্যে জুটে অবহেলা, অবজ্ঞা, অপমান-
পুত্রবধূর দ্বারা!
বয়সের সাথে সাথে বাসা বাঁধে শরীরে নানা অসুখবিসুখ।
সেই মুহূর্তে তারা হয় ছোট্ট শিশুর ন্যায় অবুঝ!
থাকে হাজারো বাহানা; জেদ আর চলতে ফিরতে কষ্ট পাওয়া!
এমন মুহূর্তে পুত্রবধূ ফেলে রাখে শ্বশুর-শাশুড়িকে নির্জন আর একাকী কক্ষে।
দেয়না খেতে দুবেলা একটুও পেট ভরে!
জীবনসঙ্গী পাশে না থেকে দিনরাত্রি কাটে তাদের;
একাকী, শূন্যতার হাহাকার আর অসহায়ত্বে।
কেউ থাকে না পাশে তাঁদের; শুধু থাকে-
চারদেয়ালের ছোট ঘর, পাখা আর ছেড়া-ভাঙ্গা খাট।
এমন করেই একাকী আর নীরবে ত্যাগ করে শেষ নিশ্বাসটুকু-
শুধু হৃদয়হীনা পুত্রবধূদের জন্য!
হে! পুত্রবধূরা-
তোমাদেরও আসবে এমন বৃদ্ধ বয়স;
সেই মুহূর্তটা একটিবার উপলব্ধি করে শ্বশুর-শাশুড়িকে-
দিয়ো একসাথে কাটানোর মুহূর্ত, সেবা, ভালবাসা আর শ্রদ্ধা !
কোন বাবা-মাকে যেন দিনরাত্রি কাটানে না হয় “একাকীত্ব আর অসহায়ত্বে”।
জীবনের শেষ মুহূর্তটি কাটুক কাছের মানুষদের ভালবাসা, সেবা আর স্নেহের ছায়ায়।
“অসহায়ত্বের দিনরাত্রি” হোক হাস্যোজ্জল দিনরাত্রিতে পরিপূর্ণ!