“নারীর সাহিত্যকর্ম”


সাহিত্য! যা মানব হৃদয়ের আয়না।
সাহিত্য ফুটিয়ে তুলে মানব হৃদয়ের নীরব অনুভূতিগুলো!
সাহিত্য কখনো কাঁদায়; কখনো একরাশ খুশি আবার কখনো ভালবাসার জোয়ারে ভাসায়।
সময়ের পালাক্রমে পরিবর্তন এসেছে সমাজে; চিন্তা-চেতনায় আর সাহিত্য চর্চায়।
এখন একবিংশ শতাব্দী; পরিবর্তিত হয়েছে সমাজ; মানব চিন্তা-চেতনা;
আর সাহিত্য চর্চার ধরণ!
সভ্যতার প্রথম যুগ থেকে;
“নারী” মানেই অবহেলিত, নির্যাতিত আর ভোগ্য পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে এসেছে!
“নারী” ঘরে থেকে জোগাড় করতো স্বামীর অন্ন আর বেলাশেষে;
ব্যস্ত স্বামীকে শারীরিক সুখ  দিতে।
নারীদের হাত ধরেই এসেছে কৃষিকাজ।
এলিজাবেথ সময়ে নারীদের সাহিত্যচর্চা ছিল পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কল্পনাতীত!
সেই সময়কালে পুরুষেরা কিছু না লিখতে পারলেও কবিতা লিখতে পারতো সেই সাথে;
খুব দক্ষ ছিল নিজেদের সহধর্মীর উপর নির্যাতনে যা ছিল তাদের কাছে গৌরবের প্রতিবিম্ব!
সমাজ  দিতো না নারীর সাহিতকর্মের মূল্য তাই তারা ধারণ করতো ছেলেদের ছদ্মনাম।
একবিংশ শতাব্দীতে আজ পুরুষের পাশাপাশি নারীরা রেখেছে উজ্জ্বল অবদান  সাহিত্যচর্চায়!
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজ নারীর সাহিত্যকর্ম পাঠ্যদান করানো হচ্ছে পুরুষ শিক্ষকদের দ্বারা।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে মনে; এমনটা যদি হতো এলিজাবেথ সময়ে!
পুরুষেরা নিজের অস্তিত্ব সংকটে পড়ে বেছে নিতো আত্মহননের পথ।
একবিংশ শতাব্দীতে নারীরা আজ পুরুষের চেয়ে কোন কিছুতেই কম নয়!
“নারীর সাহিত্যকর্ম” টিকে থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।
এই হোক প্রতিটি নারীর আত্মবিশ্বাস আর অহংকার নিজেদের অস্তিত্বের আর প্রভিভার!