'কেমন আছো বন্ধু?' সে চিঠি লিখেছো গত রাতে,


                               চৈত্রের শেষ রজনীতে।


এ হলো তার ব্যাখ্যা উত্তর মোর আজ।


দিনের প্রথম কিরণ, দিবাকরের পূর্ন ছটা হেথায়।


ঝরেছে কতো চাঁপা, বকুল ঢেকেছে বনের ঘাস।


শিমুল ছড়িয়ে পথে, নিয়েছে বিদায় কোকিল ক্ষণে।


নয়নের পূর্ন আরাম, হৃদয়ের সুপ্ত বিরাম


মনের তৃপ্তি মাঝে আজ ভালো আছি হে বন্ধু প্রিয়।


                       সময়ের সাথে সাথে গড়ালো দিন কালের স্রোতে


দহনে দগ্ধ প্রাণ বিপুল তেজে আজ সূর্য উদিয়মান।


দিন এলো ওই গ্রীষ্মের আগুন সাথে নিয়ে


হলো ভস্ম সব নবীন পত্র তৃণ তরুদল।


একি প্রবল ক্লেশ ওই শরীরে সুখ হলো শান।


ভালো নেই বন্ধু এ দুঃসহ দহনে।


                        এসেছে সেই সময় বিচ্ছেদ আর বিদায়ের।


ঘরের মায়া কেটে এবার পথের পানে বার।


বসন্ত করেছিলো এক সবারে। মিশেছিলো প্রাণ মোর সংসার প্রিয়জনে।


গেছে সুখ গেছে সময়। নেই সেই মনোটান।


ফুরালো অর্থ, বৈভব,খ্যাতি, যশ।


পদে পদে দীনতা, মন বলে হায়!হায়!


সংসারে ব্রাত্য, সমাজে উপেক্ষিত।


ভালো নেই প্রিয় সখা সমাজের বাঁকে বাঁকে।


                            এসেছে নবীন ওই সুধা মাখা স্মিত মুখে,


        বর্ষার প্রাণধারা আনবে বয়ে সে।


দিনগোনা ওই পানে মন মাতে আশাতে।


গ্রীষ্মের তেজভরা দুপুরে মন সুধায়, ' কেমন আছো একান্তে?'


সব কথা তোমারে বলা হলো নয়নে নয়নে।


নীরবতা শব্দের প্রতিরূপ আজ বিকেলে।


চৈত্রের দিন শেষে এ উত্তর তোমায়।


বেলা হলো অবসান, গরজিলো মেঘ গগনে।


খেলে তড়িৎ নভনীলে বাজে সুর অম্বরে।


গন্ধে বিভরিত, ভেজা মাটির ক্ষিতিতলে।


হলো শেষ অবসান দিলাম উত্তর তোমায়।