প্রতিনিয়ত এক রৌদ্রকরোজ্জ্বল
স্বপ্নে জেগে উঠি;
হঠাৎ আলোক ছটায়
ঝলসে যায় চোখ,
তিমির বিদারী আহত এ পরানে
সূর্যের প্রখরতা পদচিহ্ন এঁকে দিলো।


আলসেমী আমাকে ছাড়তে নারাজ;
ভোর যেন কবেই কেটে গ্যাছে-
দোর খুলে মাথার পরের সূর্য
আমায় বাইরে নিয়ে গেলো,
আর নগ্ন দাড় করিয়ে
আমাকে এক উন্মুক্ত দুপুর দেখালো;
যে দুপুরে আমি নিজেকে পুড়িয়ে ফেলি।


পুরাতন শিল্পের বোধ
আর জরাজীর্ণ সমাজচেতনা-
আমাকে সুপ্তির ঘরে
আড়াল করে ছিল।
ভরদুপুরের উত্তপ্ত উনুনে-
সে সব পুরাতন বোধ
জ্বলে পুড়ে ছাই হলো;
ক্রমাগত নিঃশেষ হলো
আমার আত্মাভিমান, অহংকার,
ভুল-ভ্রান্তি, দোষ-ত্রুটি ছিলো যতো।


নিজের ছায়ার ওপর
দাড়িয়ে থাকতে থাকতে
সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হলো-
আমার নিজস্ব প্রণয় কাহিনীগুলো;
তারপর সমস্ত শাস্ত্রকথা,
নীতিবাক্য, দয়া-মায়া, সৃজনশীলতা
একে একে সবকিছু পুড়ে ছারখার হলো।


অতঃপর, পুড়ে যাওয়া হৃদয়ের
গন্ধ ভালোবেসে-
সাদামাটা শারীরিক অভিজ্ঞান প্রাপ্ত হই।
দগ্ধ দুপুরের কামারশালায়
আমার আত্মকাহিনী,
নতুন রূপে রচিত হলো।