তুমি আমাকে ছুঁয়ে দেখলে,
          উষ্ণ!
আমি তোমাকে ছুঁয়ে দেখলাম,
          বর্ণিল!
স্বাভাবিকভাবে নাম দেওয়া যায়,
     উষ্ণতার বর্ণিল ছোঁয়া।


কিন্তু ঈশ্বর তাতে বাধা দিলেন,
     রীতিসিদ্ধ না হলে-
কেউ কাউকে-
উষ্ণতা দান করতে পারবেনা,
কেউ কাউকে তার,
বর্ণালীর রঙে রাঙাতে পারবেনা।


তোমাকে ছুঁয়ে আমি সুখি ছিলাম,
আমাকে ছুঁয়ে তুমি সুখি ছিলে;
ঈশ্বর মধ্যিখানে এসে-
     এক গোপনসূত্র যোগ করলেন।


গোপন শর্তানুসারে আমরা,
পরষ্পরের থেকে আলাদা হয়ে গেলাম।
আমাদেরকে হৃদয় নামক
     এক সঙ্গী দেওয়া হলো;
ঈশ্বর তারপর তার গোপনশর্ত
          উদঘাটন করলেন।


হৃদয়ের মিল খুঁজে বের করার শর্ত!


          আমরা তো হতবাক!
কি নির্ভেজাল ছিলো-
     আমাদের দিনগুলো,
     নিজেদেরকে নিয়ে আমরা-
     প্রতিটা প্রত্যুষ ব্যস্ত থাকতাম।


এখন আমরা যে যার মত,
     মহাসমুদ্রের বুকে ভামমান,-
     দুটো শ্যাওলা যেমন;
আমি তোমাকে খুঁজে বেড়াই,
তুমি আমাকে খুঁজে বেড়াও;-


কিন্তু, এ জগৎ তো অনন্ত মায়াবী;
     আমাদের কবে দেখা হবে-
     তার কোন নির্দিষ্টতা নেই!
ঈশ্বর গোপনশর্ত জুড়ে দিয়ে,
আমাদের মানসিক চাপে ফেলে দিলেন।


তার আগেতো আমরা
          ভালোই ছিলাম;
তুমি আমাকে ছুঁয়ে দেখতে-
আমি তোমাকে ছুঁয়ে দেখতাম।
***