বেশ কেমন শীত শীত ছিল
আবার বসন্ত এল
শুকনো মনে একটা দুটো ভালো লাগা
এলো কি না এলো
বে-আক্কেলের মতো ঘুমন্ত মন
বাড়িয়ে দিল হাত
বড় পাথরটার ওপরে দাঁড়িয়ে যে লোকটা
এক মুখ সঙ্কোচ আর অবাক
সেও কেমন হাত বাড়িয়ে
মজা দেখছে দেখো -
সন্ধের মুখে পাততাড়ি গুটিয়ে
বাড়ি ফেরার পথে
অভিমানি মন
বলল না - আজ আসি।
নয় নয় করে দিন দশ হুশ করে গেলো
চলে -
ভালো লাগা জমে পাহাড়।
নিরালা আকাশের নীচে হই গুহাবাসী
আবারও।
আবারও সেই খোলা গাঙ, জোলো ভাটিয়ালী সুর,
আবারও গহন কালো কৃষ্ণ
মন উতলা,
আবারও ভালোবেসে সই হাত পুড়ল-
মন পোড়ানো বাকি
সামান্য সম্বল আমার
তাই নিয়ে
আবারও হাট ভেঙ্গেছি,মাঠ ভেঙ্গেছি
ভালোবাসা এবার দেবে না ফাঁকি।
ছাতা গুলো সব খুলে বৃষ্টি মাখা
বিকেলে-
নিশ্চুপ দাঁড়াই খোলা প্রান্তরে।
হাতে ছুঁয়ে হাত,
হাওয়া শিরশির হাওয়া সন্ সন্,
পায়ের তলায় পাতাল ধোয়া জল,
ফট করে আগল গেল খুলে-
তিন প্রহরের বিল থেকে তুলে আনা আশা
গেল ভেসে
রামধনু রং সুতোয় গাথা
ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা
রিক্ত আবার-
আবারও ঝাপসা চোখে দিগন্তের ঝড়.
আবারও বিশ্বাস হল নগ্ন ঈশ্বর।