কৃষকের চোখের চাহনী দেখে
দিশেহারা কৃষাণী বউ,
কান্নার সুর কৃষকের গলায়,
"ফুলে উঠেছে নদীর ঢেউ"।


আজ বুঝি যাবে সব
মুক্তি পাবেনা কেউ,
তীরের জমি গুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে খাবে,
সর্বনাশা নদীর ঢেউ।


নিয়ে যাবে সাথে ক্ষেতের শস্য
রাখালের চরানো গরু,
আমার সোনার ফসলের মাঠ
পড়ে রবে হয়ে মরু।


কৃষাণীর চোখে বেদনার অশ্রু
মনে ভয় হারাবার,
নদীর গ্রাসে যাবে কি ভেঙ্গে
আমার স্বপ্ন সুখের ঘর?


উঠানের কোণের লাউ গাছ গুলো
কেবল উঠেছে মাচায়,
হাঁস, মুরগির জীবন গুলো
বিধাতা যেন বাঁচায়।


ভাবে কৃষাণী জমি যদি যায়
থাকে যেন বসতভিটা,
গোলার ধান গুলো রক্ষা না পেলে
খেতে হবে আধপেটা


কৃষক ভাবে ঘরে নয় আর
বাহিরে গিয়া দেখি ,
নদীর থাবায় কতখানি গেল
আমাকেও নেবে সেকি ?


হঠাৎ চিৎকার, কোথা গেলি বউ?
ছাড়রে ঘরের মায়া ,
বাড়ির সীমানায় ফাটল ধরেছে
উঠানে সর্বগ্রাসীর ছায়া।


কৃষক বউয়ের হাতটি ধরি
ছুটল ঊর্ধ্বশ্বাসে,
বিকট শব্দে হুঁশ ফিরে দেখে
ঘর যে নদীতে ভাসে ।


হারাল কৃষক স্বপ্নের নীড়
আশা গুলো গেল ছেড়ে,
নদী তাহাকে যা দিয়েছিল
তার বেশী নিয়ে গেল কেড়ে ।


মায়াময়ী নদী হল রাক্ষসী
সব নিয়ে গেল ভাসি ,
ভাঙ্গনের খেলায় হারিল কৃষক
জয়ী হল সর্বগ্রাসী ।