জানো শ্রাবণ,আজকাল না,
আগের মত আর কবিতা লেখা হয় না।
সময়ের সাথে এখন বুঝতে পারি না
তুমি কবে আসো আর কবে চলে যাও।
সময় কেন এমন হয়?
তোমার আগমনের হেতুতে বুকে বাজতো সানাই।
কতই না পরিকল্পনা থাকতে আগে ভাগে-
ড্রেসাপটা কেমন হবে, চুলের স্টাইল কেমন থাকবে
চোখে কাজল মাশকারা স্যাডো গাঢ় হবে নাকি হালকা।
হাতে কি ম্যাচিং চূড়ি পরবো
বাতাসে  রিনিকিঝিনি সুর তুলবে!
কানের দুল ভারি না হাল্কা পরবো?
তোমার হাতে হাত রেখে ঘুরে দেখতাম বিশ্বভূবন।
লেখনীতে ঝরে পড়তো দেশ মৃত্তিকার কথা,
মানুষের কথা, প্রকৃতির কথা।
নদী পাখি ফুল ঝর্ণা কতকিছু ছুঁয়ে আসতাম এক নিমেষে।
আহা কি মধুরই না ছিলো সে গানের সুর
যে গানের তান বেয়ে নেমে এসেছিলাম আমি।
তোমার আগমনের হেতুতে এখন আর বুকে বাজেনা সানাই
বাবা-মার কাছে ধরা হয় না কোনো বায়না।
ভাই-বোনরাও এখন এক হতে পারিনা,
হয় না বন্ধুদের সাথে সেই জমজমাট আড্ডা।
এখন শুধু নীরবেই আসা যাওয়া তোমার।
অবশ্য মাঝে-মধ্যে সন্তানদের কাছে সারপ্রাইজড হই
তখন খুব ইচ্ছে হয় সেই শৈশব ফিরে পেতে
দুরন্ত  কৈশোর ফিরে পেতে।
ইচ্ছে করে প্রজাপতির রঙিন ডানায় ভর দিতে।
ইচ্ছে হয়  দাপিয়ে বেড়ানো সেই-
কলেজ ক্যাম্পাস বন্ধুদের আড্ডা ফিরে পেতে।
ইচ্ছে হয় উদ্দামে আবার লিখি কবিতা।
কিন্তু জীবনের তাগিদে সব সাধ হয়েছে উধাও।
শ্রাবণ, তোমাকে কি ভুলে যাওয়া যায়?
তোমাকে ভুলে যাওয়া মানে তো বিস্মৃত হওয়া।
তোমাকে ভুলে যাওয়া মানে আমার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা
আর কবিতা লেখা হোক বা না হোক
তুমি ছিলে আছ থাকবে আমার স্বত্বায় ।


১৫/৩/২১