মাননীয়
শাহানাজ সুলতানা


না আর না, এবার খান্ত দিন, বন্ধ করুন আপনার এ খেলা
বিচারের নামে এযে অবিচার মাননীয়,
আমরা চাই হত্যার বিচার, নেতা হত্যার বিচার
তাই বলে এভাব ,..!
নাহ, আর যাই হোক এভাবে বিচার হয় না।
একটি গাছের গোড়া কেটে
শিঁকড় উপড়ে ফেলে তাকে কখনওই বিনাশ করা যায় না।
হ্যাঁ বিনাশ করা যায়, বিনাশ করা যায় ঠিক তখন
যখন সে গাছ সদ্য বীজ থেকে অঙ্কুরোদগম হয়
অথবা শাখা প্রশাখা মেলেছে ফুল দিয়েছে ফল দেয়নি।
যখন কো্নো বৃক্ষ ফল দেয় ছড়িয়ে পড়ে শিঁকড় বাকড়
তখন তাকে বিনাশ করা বড় মুশকিল।
-কারণ
-কারণ পাখির ঠোঁটে তার বীজ কখন কোথায় ছড়িয়ে পড়েছে আমরা কেউ কি তা জানি?
জন্ম নিয়েছে নতুন গাছ, ছড়িয়ে পড়েছে শাখা প্রশাখা
এত শাখা প্রশাখা এত শিকড় বাকড়
শিঁকড় থেকে জাল শিঁকড় উপ শিঁকড় কত কি
কোনটা কোন বৃক্ষের শিঁকড় বোঝা বড্ড কঠিণ ।
একটি বিষ বৃক্ষের শিঁকড় উপড়াতে গিয়ে
অজানতেই উপড়ে যায় একটি ভাল জাতের ফলজ বৃক্ষ।
নির্মম ভাবে খসে পড়ছে একটি জ্বলজ্বলে নক্ষত্র
অকালে ঝরে যাচ্ছে দেশগড়ার এক উজ্জ্বল সুদক্ষ কারিগর
-হুম ভীষণ চিন্তার বিষয়
-তাই বলছি আসন্ন সংকটের এই দিনে
বন্ধ করুন এই শাঁড়াশী অভিযান
বন্ধ করুন এই নৃশংস হত্যা যোগ্য।
৪৭ থেকে ৫২, ৫২ থেকে ৬৯, ৬৯ থেকে ৭১
অনেক যুদ্ধ দেখেছি অনেক রক্ত দেখেছি
অনেক কান্না দেখেছি অনেক হাহাকার দেখেছি
দেখেছি স্বৈরাচারী শাসন, আর না।
-এখন উপায়!
-মাননীয়,আপনি কি ভুলে গেছে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সেই বর্জকণ্ঠ বাণী?
রেসকোর্স ময়দানে তিনি তর্জনি তুলে বলেছিলেন
আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি
তবু তোমরা কেউ ঘরে বসে থাকবা না
তোমাদের যার যা আছে সে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বা
ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলবা।
-না কিছুই ভুলিনি আমি।
-অনেক যুদ্ধ হলো শিমুল তুলোর মত আকাশে উড়ল দুধ সাদা মেঘ
দেশ স্বাধীন হলো কিন্তু দেশতো শত্রুমুক্ত হলো না ।
আমরা একটি শত্রুমুক্ত দেশ চাই,চাই কলুষ মুক্ত জাতি
এভাবে আর রক্তপাত ঘটতে পারেনা।
-এখন কী করণীয় আছে আমাদের?
-সম্মিলিত ভাবে আমরাই পারি একটি সুন্দর দেশ গড়তে।
এভাবে আর রক্তের হলি না খেলে
আসুন কি ভাবে একটি সুন্দর দেশ আমরা পেতে পারি
হাতে হাত রেখে সবাই মিলে সে বিষয় নিয়েই ভাবা যাক।