পিতা,
পাঁচশ সত্তুর সাবানে করে গোসল
ঘুমিয়ে আছো টুঙ্গিপাড়ায় তোমারি মৃত্তিকা বুকে
ভৈরব-রূপসা-সিপশা- ভদ্রার
অশ্রুতে সিক্ত আজো তোমার চরণের পূণ্যভূমি।


পিতা,
মেলো তোমার আঁখি জুগল
দেখো, তোমার সন্তানেরা শুধু বাঙালি নয়,
ওরা আজ বাঙালি থেকে মানুষ হয়ে উঠেছে,
না, আর অনাহারে থাকতে হয় না।
তোমার সন্তানেরা এখন-
মোটাভাত-মোটাকাপড়ে বেশ আছে।


পিতা,
এখন এ পূণ্য ভূমিতে একটা স্বাধীন পতাকা
পতপতিয়ে ওড়ে বাউরি বাতাসে।
বৈশ্বিক যুগপযোগিতায় অ-নে-ক এগিয়ে,
তোমার সোনার বাংলাদেশ।
প্রস্ফুটিত গোলাপ- তার সৌরভ-সুরভিতে
করে এ মৃত্তিকা,আকাশ-বাতাস,
মর্ত্য-পাতাল।


পিতা,
তুমি ছিলে নির্ভীক , অবি-নশ্বর নেতা
তোমার একটি অনুজ্ঞায়
ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো সাতকোটি  জনতা
তোমারি জন্য জন্ম হয়েছে একটি স্বাধীন পতাকার
জন্ম হয়েছে একটি  স্বাধীন ভূখণ্ডের।


পিতা,
ধানমন্ডির বত্রিশ নাম্বারে ক্ষত-বিক্ষত তোমার দেহ
সিঁড়িতে গড়িয়ে পড়া তোমার শেষ রক্তবিন্দু
উঃ কী মর্মান্তিক, কী বিভৎস
তোমাকে হারনোর বেদনায়
কাঁদে আজ তোমার ষোল কোটি জনতায়
কাঁদে আকাশ, কাঁদে বাতাস, কাঁদে মহাসিন্ধু,
ফুলশতদলের অশ্রুজল ভোরের শিশির হয়ে
দুর্বাঘাসে জমে বিন্দু-বিন্দু।


পিতা,
সত্যিই কি তুমি শান্তিতে আছো ঘুমিয়ে?
তোমাকে আজো এ বাংলায় বড় প্রয়োজন
তুমি চলে এসো মেঘের ঝাঁকের সাথে
তুমি চলে এসো বিহঙ্গের ডানায় ভর করে
তোমার তর্জনীর অপেক্ষায় অপেক্ষারত  রেসকোর্স ময়দানের দূর্বাদল, বৃক্ষরাজি,  শোভিত ফুলের বাগান
তোমার দরাজ কণ্ঠের অপেক্ষায় অপেক্ষারত
সুবিশাল জন-সমুদ্র।


১৫ আগস্ট ২০১৯