সুপ্ত পৃথিবীর বুক চিরে জেগেছে মায়াবী চাঁদ
চাঁদ বৃষ্টির প্রেমলীলা প্রকৃতির বুকে
ষড়শী চাঁদ ললাটে এঁকে চলেছে চুমো বারবার
          সে ছোঁয়ায় শিহরিত মন প্রাণ।

এক অনাবিল আনন্দে কেঁপে কেঁপে উঠছে হৃদয়
রাত পোহালেই তেশরা শ্রাবণ, ও বাবা ও মা
তোমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছ তাই না?
ভাবছ এই বুঝি খুকু এলো।
              নাহ তোমরা না
দিনদিন অবুঝ শিশুর মত হয়ে যাচ্ছ
কিচ্ছুটি বুঝতে চাওয়া।


ওমা, বাবাকে বুঝায়ে বলো না  
তোমাদের খুকু এখন আর সেই ছোট্টটি নেই
সে এখন অনেক বড় হয়েছে,
              এখন যান্ত্রীক জীবন তার।
চাইলেই আর স্বপ্নডানা মেলতে পারিনা দিগন্তে
প্রজাপতি হয়ে দুলতে পারিনা ফুলে ফুলে
পারিনা ছুঁতে রিমঝিম বৃষ্টি, শ্রাবণ আকাশ
ভাসতে পারিনা পুকুর জলে
শুনতে পারিনা স্রোতস্বিনী  চলার গান
তবু এই দিনটির জন্য সামান্য সময় রাখি হাতে ।


বাইরে মুশুল ধারায় বৃষ্টি ঝরছে
জানো মা আজ আমার বেলী গাছে
               অনেক বেলী ফুটেছে
বেলির সুবাস ভরে তুলল দেহ মন
চাঁদের স্নিগ্ধ আলো আর বেলীর সুবাস
দূর করে দিলো সকল ক্লান্তি ও অবসাদ।
বহুদিন পর নিজেকে সাজালাম তেমন করে
যেমন করে ছেলেবেলা আমাকে পরী সাজাতে।


জানালার গ্রীল চুইয়ে বৃষ্টি জলের স্পর্শ হাতে  
অজানা শিহরন ছুঁয়ে যাচ্ছে আমাকে
               রাত পোহালেই তেশরা শ্রাবণ।