পুস্তক আর উইপোকার যাবতীয় প্রেম ট্রেম সর্বজন স্বীকৃত
আমি কি তবে ভুল সম্পাদনায় পদ্যছাপা কোন নিছক মলাট ?
মাঝরাত্রীর সেকেলে মূর্খ হাহাকার ঘোমটা খুলে নাচন দেয়
নর্তকীর মত বেফাঁস, নিলজ্জ
আমাকে শতেক টুকরো করে ছড়িয়ে দেয় অন্দ্ধকারে,
যেন জীবনানন্দ কুলহীন এক সমুদ্দুর,  
উইপোকার পূর্বসরী  ।।
বিপন্ন নগরীর আর কোন ভরসা নাই জেনে
পুরনো বাক্স পুঁটলি বেঁধে কাঁধে  
তিনি কয়লার ট্রেনে চেপে ধোয়া ছড়িয়ে চারপাশ
অজপাড়া গাঁয়ের হীম শীতল ঝুপড়ি ভেবে বসত গড়েন আমার মাথায় ।
আমি একটি মাঝির জীবন চেয়েছিলাম
জল সরল আয়নার মত স্বচ্ছ
বৈটা টেনে সারি উজাড় করে দিতাম বহুদুরের হাওয়ায় ।
আহ সোনার স্বপ্নের স্বাধ কবে আর ঝরে !
আমি কেবল দেখি,
একটি ডাহুক পাখি লক্ষ্মী পেঁচাটির তরে কেঁদে কেঁদে মূর্ছাগত !!
কেটওয়াক করতে করতে আমার হৃদয়ে সুদর্শনা কোন সুন্দরী আসে না
পুরনো ক্ষতে রক্তপুজ জমে মুখে
বের হয়ে আসে মানুষের অসমাপ্ত হাহাকার কেবলি ।
মানুষের বেদনা এক অনঙ্গ বাউল,
মানুষের বাঁচার লড়াই বেহুলা লখিন্দরের সেই গল্পটাই,
আর মানুষের হৃদয়ও কূটনীতি তৎপর আতশবাজির দৃষ্টিবিভ্রম রংধুলো !
আমি এক চুনোপুঁটি মাছের জীবন চেয়েছিলাম
নদী সমুদ্রে ঢেউ তুলে ছোট একটি জীবনে
আমি সাতার কেটে জেনে ফেলব পৃথিবীর আশৈশব ইতিহাস
অথচ আমাকে এখনও ট্র্যাম হন্যে হয়ে খুঁজে ফেরে ।
মানুষ আর কাক দুইয়ে মিলে ঠুকরে খায় উঁচু আকাশ
মানুষ আর কাক মিলে মিশে খায় ডাস্টবিনের ময়লা
ঈশ্বরের কাছে আমি মানুষের জীবন চাইনি কোনদিন
অথচ আমি এখানে এসে মানুষের তৈরি ফাঁদে কাটিয়ে দিলাম একটি জীবন
অথচ একদিন জীবনানন্দ আমার মাথা খেয়ে চলে গেলেন
আমি সেই থেকে কবিতা লিখি
হাহাকার করি ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩  
২০ ভাদ্র ১৪২০