মধ্যরাতকে গোপন টোকা দিয়ে দেখে সুর্য
কতটা ঘুমে হুঁশহারা অন্দ্ধকার !
আমাদের আর কিবা যায় আসে, নিজের ভাবনা ছাড়া ।
অবসরে ভাববার যেসব গল্প অবসরে গেছে চলে
নাগরিক নর্দমায় কাঁদা হয়ে গেছে কত স্মৃতি তার !
মনে নেই অনেক কিছুই
ভাবা জরুরী ভেবে ভাবতে গিয়ে দেখি ভুলে গেছি সব ।
বেশ কিছু ফেলানী গল্প জমে আছে বড় লোকের পুরনো ট্রাঙ্কের ধুলোয়
পরতে পরতে উড়ছে ছাই সম্পাদনের টেবিলে ।
ফেলানী শুকাতে দেয়া ভেজা জামায়
জমা রাখা আছে যেন মেঘ রোদের কাব্যগীত অমিয় !
অনেক কথা বলার ছিল তবু
কিছু কথা বলার ঝুঁকি মেনে লোকের ঠোটে অস্ত্র দিলাম না হয় তুলে,
পৃথিবীটা বহু খন্ডে ভাগ হয়ে একদিন কাঁটাতারে পৃথক হয়ে গেল
একদিন জাতীয় সঙ্গীত পৃথক হল
একদিন বহুতর হিংসে বিষাধে পৃথক হল ভাষা
একদিন মানবতার সংজ্ঞায় গেল পাল্ঠে
সেই একদিন থেকে মানুষ মানুষকে মানুষ ভাবে না আর ।
কাঁটাতারে ঝুলে থাকে ছেঁড়া রক্তাক্ত পতাকা
একটি স্বাধীন সার্বভোম রাষ্ট্র ফেলানী হয়ে গুজব ছড়ায় হাওয়ার আর্তনাদ ।।
রক্তখেকো কাঁটাতারের দুর্দিন বোঝে অমিয় ঘোষ
মেঘের ভাঁজে বাহাদুরি গুঁজিয়ে তিনি
সুর্য হাসির ফটোগ্রাফ টাঙিয়ে দিয়েছেন তার বুকফোলা কীর্তির দেয়ালে
শেষকালে নাতিপুতির কাছে গালগল্পের জন্য বক কাক মারার
কিছু যুতসই নজির থাকা চাই কিনা !!!
ফেলানী আমাদের অভাবী ঘরের দুখিনী বোন
ফেলানী কখন জন্মাল, কি পাপে মারাও গেল
ঈশ্বরের পাপ পুণ্যের হিসেব কম বুঝি বলেই চুপ গেলাম,
কিন্তু অমিয় ঘোষ কি তবে বিচক্ষণ লোক ? কাঁটাতার কি সোজা স্বর্গ পথ ?
নাদান দরিদ্র আমরা বুঝি না সেসব বড়লোকি কারবার ।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩
২২ ভাদ্র ১৪২০