মাছরাঙার ঠোট থেকে খসে পড়ে ফের
আমি আধেক স্বপ্নকে উসকে দিয়ে যাচ্ছি মাছের মত
জলাশয়ে !
এর চে বড় পরাজয় হয় না জানি ।
আমি জানি, একদিন ঘোড়া ঘাসের সাথে খেয়ে ফেলেছিল
আমাদের বোধের ‘আহা, উহু’ উপাদেয় বুলি !
সেই থেকেই তার বদহজম !!
সে দাড়িয়ে ঘুমায় !!!
ঘোড়া বসে পড়লে আমাদের মত তলিয়ে যেত
এই হচ্ছে মনুষ্য বিষক্রিয়া ।
নতুন ছোকরা কেরানী সালাম ঠোকে ততদিন
পৃথিবীতে যতদিন লাফ দেয়ার মত চালাকিটা রপ্ত না হয়ে ওঠে তার
তোমার ঢের বয়স হয়েছে, শিক্ষা হয়েছে
তোমার কেতাদুরস্ত ছলে
আমি প্রতিদিন ভুল হচ্ছি
প্রতিদিন মার খাচ্ছি ।
বিষণ্ণ বসন্ত
সমস্ত ফাল্গুনী রৌদ খেয়ে ঢেকুর তুলছে আমার চারপাশ
আমি নেশাকাতর মুদিত চোখ কিছু খুলে দেখি
ক্রমশো দীর্ঘ হয়ে উঠছে সামনের সমুদ্দুর  
আমি পারি না দাড়াতে
আমাকে চলন বলন শক্তিহীন করে রেখেছ এমন ।
একটি কুকুর ডেকে চলেছে চৌধুরী বাড়ীর গেটে বহুদিন  
উচ্ছিষ্টও মেলে না আজকাল
কেউ জানে না কেন দখিন দুয়ারে হাওয়া বেশি
কেন বেশি আর্তনাদ !
মানুষ সুবিধে সমেত অবুজ থাকে
কুকুর পেটের দায়ে ।
নিরীহ হাওয়ায় ভাসে যথাসমগ্র মনুষ্য হাহাকার
দখিনা হাওয়ায়
দখিনা হৃদয়ে কারো কারো ।
তোমার কিছু নেই হারাবার, সেই হিসেব চুকেছে, সেই ভয় !
কূটনীতিজ্ঞানী তোমার হৃদয়ে সূঁই গোচর
এই তাবৎ গ্রহ,
সেখানে দখিনের কোন ফুরসৎ নেই ।
সেখানে আমি নেই ।
আছে ঠোকর খাওয়া আমার দগদগে স্মৃতি কিছু
তবু বেঁচে থাকে কিছু আধেক স্বপ্ন
তবু আমি...... ।
০৫/০৭/২০১৩
২১ আষাঢ় ১৪২০