গল্পটা এমনই, আমি দেখছিলাম না চারপাশের কিছুই আর
পত্রিকার হেডিং, চায়ের কাপের কুয়াশাবাস্প ধোয়া  
সফেদ আকাশ কিংবা সবুজ কামিজের পাহাড় ।  
কিছুদিন আমি কেবল দুটি চোখে খেইহারা
কিছুদিন আমি এই দু চোখে আর কিছুই দেখছি না সমুদ্র ছাড়া !
এমন শান্ত গভীর সমুদ্র
মিছিল জানে না ঢেউ তার ।  
আমি দেখছি না কিছুই আর, উত্তর দক্ষিণ কিংবা বড়সড় বিলবোর্ড !  
দেখছি, হরিণ দুরন্ত ডানার দুটি চোখ  
তোমার চোখ ।
আমার নাতিদীর্ঘ জীবনের সমস্ত আয়ু পরমায়ু
তোমার দু চোখে কেবল
আমার হস্তরেখায় লেখা এতসব সর্বনাশ !!  
তোমার দু চোখে ডুবে আমি মৃত ভেসে উঠি রোজ
আনাড়ি নাবিকের মত ।
ক্যামেরাতে সমুদ্র ছড়িয়ে পড়ে চারিদিক
মুহু মুহু ক্লিকে বেপরোয়া ঢেউ আছড়ে পড়ছে হৃদয়ে ।


রোদ্দুর মড়ক ধুলোয় ইস্টিশন খুঁজে পায় না হাওয়া
তুমুল বৃষ্টিতে হাওয়ারা আদ্র হয়
ঘাপটি মেরে বসে থাকা বিষন্ন বিকেলের মত
ক্রম বর্ধমান আঁধার হয়ে ওঠে সে একদিন ।
তোমার চোখের দিকে তাকালে  
আমি ভরা মজলিসে একা হয়ে যাই
আমি কবি হয়ে ভাবি, কি সব হাসি হয়ে গেছি আজকাল  
যেন সাঁতার না জানায় ডুবে মরছে একটি হাঁসের বাচ্চা !
আমার চারপাশে কিছুই নেই আর দেখার মত
বাইরের ভীষন বৃষ্টি দেখে বিজ্ঞলোকটার কথাই মনে পড়ল,
অসম্ভব সম্ভব হইবার পূর্বেই তাহা কেবল অসম্ভব ।


শিল্পকলা আমি বুঝি না, কবিতাও নয় কিছু মাত্র
তার চেয়েও দেখি তোমার চোখ দুটি এক দূর্লঙ্গ প্রাচীর  !
তবু টপকে যাই নকল করে
যেন সব বুঝি
জানি সব ।।
তোমাকে যেটুকু বুঝি না ভাবি অন্দ্ধকার !
শিল্পকলা !!
কবিতা !!!
তোমার চোখে সমুদ্র ছিল এই সত্য জেনে গেলে
আমি সাহসী নই অতটা তবু
আহাম্মকের মত পতন মেনে ডুবে যাই সেই গভীরে
ছোট ছোট মিছিলের মত ঢেউ তুলে  ।
তোমার চোখের নিচে কি মেঘ ছিল মেয়ে ?
কেন এই অকাল শ্রাবণ তবে ?
বরষা প্রলয় মাতম তুলছে হৃদয় জুড়ে অহর্নিশ !
আমি জানতাম না, তোমার দু চোখে আমার এত কবিতা জমা ছিল ।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩
২৯ ভাদ্র ১৪২০


প্রিয়দি হৃদিতা জাহানকে । আজ আবার তার জন্মদিন ।