ইদানিং আমার একা থাকতে ভীষণরকমের ভাল লাগে
মানুষের দম ফেলার ফুরসৎ না মেলার ভীরে
কিংবা ভীষণ নির্জনে
আমার একাকীত্ব ভাল লাগে !
আমি একটি জীবনের নির্মোহ অভ্যাসে সুখাধ্য করে তুলেছি
এই মনুষ্য নির্গত দীর্ঘশ্বাস !!
আমি শেষ কয়েক বছর যাবত খুব মনোযোগ দিয়ে
ধারালো সূচের ভেতর সঁপে দিয়েছি নিজের শরীর
স্বরবর্ণের স্বরলিপিতে রেওয়াজ করে গেয়েছি দুবেলা
হারার পাঠোভ্যাস ।
জীবনটাকে খুব বেশি সিরিয়াস করে নিলে,
পাথরের সংখ্যা বাড়ে কেবল
জীবিত এবং মৃতের হিসেবেও ভুল হয়ে যাবে দুর্দান্ত গণিকার !
আমি খুব সরল জলে সেরে নিয়েছি যাবতীয় পরিছন্ন পর্ব
ইদানিং আমার কিছুতেই ব্যথা হয় না
খুব মনোযোগ দিয়ে হজম করতে শিখছি এই নম্রতা ।


রাত্রি সেত বিনুনি দোলানো নেতানো বালিকা
সকালের সাথে রোজ রোজ গা এলিয়ে সঙ্গম করে ।
আমি রাত্রিকে চুমু খেয়ে বলি,
গান গাও !
অন্ধকারকে বলি,
বুকের বাম পাশজুড়ে স্নেহে জড়াও !!
দেয়ালে নির্বোধ ঘড়ির মত সেঁটে থাকা মাকড়সাটাকে
ইদানিং আমার ভীষণ আপন লাগে ।
ঘরের একোন-ওকোন ঘোরাঘুরি করতে থাকা তেলাপোকাটা
আমি নিমিষে হাতের তালুতে তুলে নিলে খুব আদুরে হয়ে ওঠে সে
ধনী লোকের বিদেশী কুকুরটির মত ।
আমার কেউ নেই এ ছাড়া
কেউ নেই এমন, যে কিনা হটাত অপ্রস্তুত কুৎসিত এই তেলাপোকা দেখে
চৌকস এক নায়িকার মত ‘ককরোচ, ইহি...ককরোচ’ বলেই
ভয়ার্ত কণ্ঠে লাফিয়ে পড়বে আমার বুকে ।
আমি ইদানিং বেশ আছি
কখনো দেখা হলে তুমি জিগ্যেস করো না,
‘আপনাকে কতদিন পর দেখলাম ! এতবেশি রোগা হয়ে গেলেন কেন ? খুব বুঝি অনিয়ম করেন এখনো ?’
পানির ট্যাবে বহুক্ষণ ঝুলে থাকা জলের শেষ ফোঁটার মত আমিও
ধীরে ধীরে মরে যাব তোমার সামনেই ।
১৯ এপ্রিল ২০১৪
০৬ বৈশাখ ১৪২১