পতাকাটা আমাদের রঞ্জিত যেই পবিত্র  রঙে,
আমরা দিয়াছি কি সেই  রক্তের ঠিক দাম?
শহীদের রক্তে উন্মাদ ড্রাকুলারা গৌরবে এভূমে ঘোরে..!!
আমরা কি কখনও হায়নাদের বিচার করেছিলাম ?
অনাগত প্রজন্মকে আমি উত্তর দিয়ে গেলাম..
আমরা পেরেছি - বিচার করেছি !!!
.
বীরাঙ্গনা নারী  নিষ্পলক তাকিয়ে গোধুলী পানে;
তার চোখের  কোনে জল একাত্তর স্মরণে..
কি ভয়ানক সে বিভীষিকা..!!
বাংলাদেশ জন্মদিতে সে ভুক্তভোগী..!!
হায়না-দোসরের কি ভয়ানক সে ছোবল .. !!
হঠাৎ আধ ফোঁটা শুকনো জল গড়িয়ে পড়ে ..!!
একাত্তরে মত এখনও সন্ধ্যা নামে- স্বাধীন সন্ধ্যা...
বীরাঙ্গনা হারিয়েছে যা একাত্তরে;
ফিরিয়ে দিতে পারিনি তা তারে..
মেঘ সরিয়ে দিয়েছি তার মুখে হাসি,
স্বাধীন বাংলায় কলঙ্কের কবর দিয়েছি..
এ প্রজন্ম দিয়েছে যুদ্ধাপরাধীর ফাসি..
.
মুক্তিযুদ্ধ-কামান-গেরিলা-হানাদার..
বৃদ্ধের চোখে-মনে  স্বস্তির ঘুম নেই..
স্মৃতি দুঃস্বপ্ন........
পাক হানাদারদের ক্যাম্প আক্রমণ রাত গভীরে,
নির্ঘুম চোখে ভাসছে চঞ্চলা নারী-কতো প্রেম তার চোখ..!
আক্রমণ মুহুর্তে শহীদ হলে দেখা হবেনা আর..
এক মূহুর্তেই সে জওয়ান সব ভূলে যায়..
চেতনয় পরিস্ফুটিত বাংলাদেশ স্বাধীন করো,
বুকে উচ্চারিত বীর বাঙালী অস্ত্র ধরো..
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়-
তবু বীরের চোখ প্রশান্তির ঘুম আসে না..!!
এভূমে দোসরের বিচার হয়না..
শহীদ রক্তে রঞ্জিত পতাকা,
হাতে নিয়ে তারা করে উন্মাদনা..!!
এ প্রজন্ম অরাজকতা মেনে নেয়নি,
হায়নার হাতে শোভিত হতে দেয়নি_
দিয়েছে ফিরিয়ে  শহীদের প্রাপ্ত সম্মানী-
বাংলার মাটিতে ঘৃণীত হায়নার ফাঁসি
আমরা দিয়েছি  মুক্তিযোদ্ধার মুখে হাসি..
.
হঠাৎ এক মুহূর্তেই পুরো বাংলাদেশ থমকে গেছে,
একটা মিছিল আসছে ধেয়ে স্বাধীন দেশের উদ্দেশ্যে _
তিরিশ লক্ষ শহীদ ফিরে আসছে-আপন ভূমিতে_
যেন মনে হয় একটা নৈসর্গিক দৃশ্য তাদের এ মিছিল
আলোর জ্যোতিতে একটা কালো রাত মুছে গেল..
তিরিশ লক্ষ মুখে বিজয়ী হাসি আর বুকে প্রশান্তি-
কালো রাতের পর এক বিজয় আলোর সকাল,
তিরিশ লক্ষ্য হাসির ঝলকে বিজয় সকাল চির উজ্জ্বল.. ।।


______________________________
-সাদা কাঁক (মেহেদী হাসান)
মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।
১৫ ডিসেম্বর,২০১৫ ইংরেজী;
১ লা পৌষ, ১৪২২ বঙ্গাব্দ।