এবার কবিতা লিখে আমি একটা রাজপ্রাসাদ বানাবো
এবার কবিতা লিখে আমি চাই পনটিয়াক গাড়ি
এবার কবিতা লিখে আমি ঠিক রাষ্ট্রপতি না হলেও
                       ত্রিপাদ ভূমির জন্য রাখবো পা উঁচিয়ে---
মেষপালকের গানে এ পৃথিবী বহুদিন ঋণী!
কবিতা লিখেছি আমি চাই স্কচ, সাদা ঘোড়া, নির্ভেজাল ঘৃতে পক্ক
                                           মুরগীর দু'ঠ্যাং শুধু, বাকি মাংস নয়---
কবিতা লিখেছি তাই আমার সহস্র ক্রীতদাসী চাই---
অথবা একটি নারী অগোপন, যাকে আমি প্রকাশ্যে রাস্তায় জানু ধরে...
                                                                  দয়া চাইতে পারি।


লেভেল ক্রসিংয়ে আমি দাঁড়ালেই শুনতে চাই তোপধ্বনি
এবার কবিতা লিখে আমি আর দাবি ছাড়বো না
নেড়ি কুত্তা হয়ে আমি পায়ের ধুলোর থেকে গড়াগড়ি দিয়ে আসি
হাড় থেকে রক্ত নিংড়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছি, ভিক্ষে চেয়ে মানুষের
                                                            চোখ থেকে মনুষ্যত্ব খুলে---
কপালের জ্বর, থুতু শ্লেষ্মা থেকে কবিতার জন্য উঠে এসে
মাতাল চন্ডাল হয়ে নিজেকে পুড়িয়ে ফের ছাই থেকে উঠে এসে
আমরা একলা ঘরে অসহায়তার মতো হা-হা স্বর থেকে উঠে এসে
কবিতা লেখার সব প্রতিশোধ নিতে দাঁড়িয়েছি।


(কাব্যগ্রন্থঃ আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি)