আকাশ থেকে অনেকখানি দূরে
আমরা এখন মাটির 'পরে আছি,
পাতালটাও নয় যে কাছাকাছি,
-আকাশ পাতাল ভেবে মরছো পুড়ে।


যাকে নিয়েই এতো অবিশ্বাস
মনগড়া সে; এবার তাকাও তবে,
আর সুদীপা? -ভুলেই গেছি কবে...
তবু তোমার উঠছে নাভিশ্বাস।


তোমার মনে ছড়িয়ে আছে কাঁচ;
আমি বড়ই শান্ত চরাচরে!
একটু শুধুই মন থাকে না ঘরে;
আর অযথা ভেবো না সাত-পাঁচ।


তোমার জন্য জীবন রাখব বাজি;
জুলেখা এক টাটকা ফুলের কুঁড়ি!
কদিন ধরেই বলছে, চলো, ঘুরি;
- কী করে আর হই বলো গররাজি?


তুমি বলছো তোমায় দিচ্ছি ধোঁকা?
সেদিন রাতে দীপ্তা এসেছিল,
কি জানি তার খামতি কিসে হল!
-বিড়বিড়িয়ে বললো কিনা, বোকা।


রিয়ার নাকি ঘরেই ঢুকতে মানা?
যেই বলেছি তোমার মুক্তো দাঁত
পাল্টা সেও বললো, রোমশ হাত;
হাত টেনে নেয় বুকের ভিতর, না না...


...হাত ধরেনি। - আসেইনি সে ঘরে।
গা পুড়ে যায়, প্রলাপ বকছি জ্বরে।