************


সেই এক মহাবিস্ময়কর অনিকেত কবি
ক্ষণে ক্ষণে এসে ভিড় করে উদাস মনে
যাঁর ছড়ানো শব্দদানা খাদ্যের মতই
ভরে থাকে আমাদের খোলা অঙ্গণে !

যখনই তোমার কাছে পেতেছি হাত
দু’হাতের অঞ্জলি পূর্ণ করেছো অশেষ
সাতটি তারার তিমির জুড়ে থাকা রাত
ঊষার আলোর কাছে তৃপ্ত অনিঃশ্বেষ ।

রূপসী বাংলা ভরে আছে অনিবার অধরা
তোমারি মধুর মোহন শব্দমায়ায়
খোলা দীঘি জলে আপ্লুত সুরঞ্জনা ও সাথীরা
মেঘ-বৃষ্টি খেলে যায় অমল জোছনায় ।

ব্যথার দহনে পুড়ে পুড়ে উড়িয়েছ শব্দ ছাই,
হিজলের বনে লুকোনো ডাহুকের মত
মনের গহীনে যেনো তোমারেই নিয়ত পাই
মুখোমুখি বসে বনলতা সেন স্মিতহাস্যে সম্মত ।

দিয়েছ ছড়িয়ে পথে ও প্রান্তরে বিষাদ স্বপ্ন মাখা
হৃদয়ের আঙিণায় ‘জীবন-আনন্দ’ রয়েছ আঁকা ।