মেরুদণ্ড বেয়ে নামছে ঘাম রক্ত
তবুও নারীরা ব্রত পালন করে
স্বামী সন্তানের মঙ্গল কামনায় –
ত্রিভুবন জুড়ে পুণ্যের আবাহন করে নারী
তবুও নারীরা বরাবর বঞ্চিত, অবহেলিত।


নারীরা সিঁথিতে সিঁদুর পরে
বধূ হয়ে আসে শ্বশুর বাড়ি
আঁতুড়ঘরে কেটে যায় অনেকটা সময়
সবার চাহিদা মেটাতে মেটাতে
নারীরা একটা সময় নিঃস্ব হয়ে যায়।


অনেকে প্রতিবাদ করে বলবে –
এই তো আমরা স্কুল কলেজ অফিসে
কেমন খোলা হাওয়ায় উড়ছি ...
হয়তো ক্ষণিকের জন্যে খুশির রোদ ছড়ায়
বুক থেকে সরে গেছে লজ্জার দোপাট্টা!


কিন্তু সত্যি করে বলুন তো -
নিজের মনের গোপন আয়নায় দাঁড়িয়ে
আমাদের দেশে ক’টা মেয়ে স্বাধীন
যারা পর পর মেয়ে হলে স্বামীর ঘর পায় না
আঁতুড়ে অত্যাচার দেখেছেন কখনও !


সভ্যতা না বর্বরতা জানি না
অন্তঃপুরে নারীরা জ্বলে পুড়ে ছারখার
প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হয় অবলা নারী
ভালোবাসার ঘর দাউদাউ জ্বলছে
তবুও নারী চোখের জল মুছে বলবে – ভালো আছি!


          ********