এ আমার কবিতা বিষয়ে কেবল আলাপন।যেমন কবিতা লেখা--
এও ঠিক তাই।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন,সাহিত্য আমরা তাকেই বলবো-
যা ব্যক্তিচেতনা থেকে সাধারণত্বে উপনীত হয়।বাইরের জগতের
সঙ্গে কবিচেতনার রঙে যা রঙীন হয়ে ওঠে।.ভাবকে নিজের করিয়া
সকলের করা,ইহাই সাহিত্য,ইহাই ললিতকলা।(সাহিত্য).
   কবিতা লেখার সময় রবীন্দ্রকবির মতে বিষয়টি আগে আত্মস্থ
করতে হবে।তারপরে কবি তা মনের মাধুরী মিশিয়ে তাকে সর্বসাধারণের করে তুলবেন। তখন আর তা আমার একান্ত
আপন থাকল না।ধরা যাক কবি তার নিজের অথবা অন্যের অভিজ্ঞ-
তাকে নিয়ে কবিতা বা গল্প লিখবেন।যেমন আছে তিনি সেরকমই
লিখলে সব সময় কবিতা হয় না।আগে নিজের মধ্যে এনে তাকে
সুন্দর,পরিবেশনযোগ্য করতে হবে।তারপর তাকে সকলের জন্য
করা।তখন তার মধ্যে আর ব্যক্তি-আমি থাকে না ।সে তখন সাহিত্য।সকলের সঙ্গে সহিতত্ব ঘটেছে যার।
(ভিসুয়াল)ব্যক্তি----->আত্মস্থ----->সর্বসাধারনের---->সাহিত্য।
কাজেই কবি-সাহিত্যিক তার কবিতা বা সাহিত্যের মধ্যে নিজের
মানসিকতা,চেতনা সঞ্চারিত করেও তার বহু ঊর্ধ্বে উঠে যান।
       মিল যখন দিতে যাই শব্দ ব্যবহার করবো খুুব সাবধানে,যাতে
বেশী ভারী না হয়ে যায়।অন্ত্যমিলের ক্ষেত্রে ভারী বা হাল্কা শব্দ নিতে
হবে মাত্রা যা অনুমতি করে।আধুনিক কবিতা গদ্যমুখী।যত সময় যাচ্ছে দিনও তত বদলাচ্ছে।ভাষাও একটু একটু করে বদলাচ্ছে।
কবিতা যদি না বদলায় তবে কেমন করে জীবনের সাথে তাল মেলাবে!
অবশ্য
অন্ত্যমিল সবারই কাছে আদরণীয়।ফরাসী কবিতা থেকে নির্যাস
চুঁইয়ে আরও বেশী করে গদ্যকবিতা বাংলায় এসেছে।গদ্যকবিতাতেও
কাব্যিকতা চাই।চিন্তা চাই,ব্যঞ্জনা চাই।