জন্মদিনে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে ঈশ্বর মনে হয়
বাথরুমে গিয়ে আয়নায় স্পষ্ট দেখতে পাই আমার মাথার পেছনে ঈশ্বরীয় হ্যালো
দু চোখের মাঝখানটা দগদগ করতে থাকে
এই বুঝি ফুটে উঠবে অনুভবী তৃতীয় চক্ষু
হাতটা নিজের অজান্তেই তথাস্তু মুদ্রা নেয় বার বার
ঠোঁটের কোনে লেগে থাকে ক্ষমাশীল স্মিত পরিশীলিত হাসি
রাস্তায় বেরোলেই দেখি রাশি রাশি রাঙা রঙ্গন ফুল ছড়ানো আছে অলিতে গলিতে বড়রাস্তায়
আমি ঘাস বাঁচিয়ে ফুল বাঁচিয়ে সাবধানে চলি
আজ যে আমার কাউকে পায়ের তলায় দলে যাওয়ার কথা নয়


আজ সে আসবে – সেই কিশলয় প্রভাতের অনুচ্ছিষ্ট আমি
আসবে সে তার সমস্ত সুষমা নিয়ে
বায়বিক থেকে মানবিক করবে আমায়
অননুভূত এক উন্মাদনা জড়িয়ে থাকে রোমকূপে রোমকূপে
অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি সেই সহজপাঠ্য ভূতপূর্ব আমার
সকাল থেকে বিকেল গড়ায়, বিকেল থেকে সন্ধে…
এই বুঝি শিউলির গন্ধের মত নিবিড় হয়ে সে এসে
এক ঝটকায় আমার প্লাস্টিক পৃথিবীর বন্ধ দরজাগুলো খুলে দেবে
হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে আমায় সবুজ চেনাবে


অস্থির আবেগে প্রতিটা সেকেন্ডকে ঘন্টা মনে হয়
প্রতিটা ঘন্টাকে বছর
ধীরে সন্ধে পেরিয়ে রাত্রি হয়
তবু আমাদের মধ্যস্থিত যোজন আলোকবর্ষব্যাপী
নিঃসীম নিগাঢ় নিরালম্ব অন্ধকার ফিকে হয় না এতটুকু…
তবু আসেনা সেই বহু প্রতিক্ষিত আমার কিশলয় আমি
রাত ফুরোয়…শুরু হয় একটা সাদামাঠা আভাহীন প্রাত্যহিক দিন
শুরু হয় আবার বছরভরের প্রতীক্ষা।