নেমন্তন্ন খেতে গেলাম। ধুমধাম করে হচ্ছে মাছের বিয়ে
জলের নিচে, অনেক নিচে, জলঢাকা শহরে
বর চলেছে পাল্কি করে টোপর মাথায় দিয়ে
বরযাত্রী মাছেরা যায় পেছনে ভিড় করে।


মাছ বৌটি লজ্জা রাঙা আজকে তার বিয়ে
বর এসেছে, বর এসেছে টোপর মাথায় দিয়ে
মাছ-বৌয়ের আঁশে আঁশে অজানা শিহরণ
কোথায় সেই মানুষটা? দেখা পেতে কতক্ষন।


সকাল থেকে আজকে উপোস, জলজিরা খেয়ে আছে
মাছের বিয়েতে সানাই নয়, জলতরঙ্গ বাজে
জলনুপুর পরেছে পায়ে, কপালে জলটিপ
কেমন লাগছে আজকে তাকে? বুক করে ঢিপ ঢিপ।


ঝিনুক পাতায় মুখ লুকিয়ে শুভ দৃষ্টি হল
চুনি গলানো রাঙা জলে হল সিঁদুর দান
জলের চুপ-গভীরে মাছ শাশুড়ি কুলু-ধ্বনি দিল
জল-দেবতাকে সাক্ষী রেখে হল পাখনা দান


বিদায়বেলায় মাছ-বৌয়ের, চোখের জলে সারা শরীর ভেজা
মাছ-মা যে তার বুকের মাঝে ফাঁকা
মাছ বর-বৌ পাল্কি চড়ে ঐ যে দূরে যায়
মাছ-বাবাটা দাঁড়িয়ে রইলো একা।