নিষিদ্ধফল ভক্ষণ করতে নাই
সাইয়িদ রফিকুল হক


তোমাকে এখন আর চিনি না,
তোমার কথা আগের মতো আর ভাবি না।
তোমার বাড়ির নাম্বারটাও ভুলে গেছি
কিংবা হারিয়ে ফেলেছি ইচ্ছে করে,
অনেকদিন আগে খুব শখ করে
তোমার ঠিকানাটা মনে করার
একটুআধটু চেষ্টা করেছিলাম
কিন্তু তবুও তা মনে পড়েনি একবারও।


তোমাকে হয়তো এখন ভুলেই গিয়েছি,
আগের মতো তোমার কথা আর মনে পড়ে না,
তোমার জন্য মনটাও আর ব্যাকুল হয় না,
তোমার জন্য কখনও মনটা আর ছটফট করে না,
তোমার জন্য এই মনটা আর কাঁদে না,
আর কখনও তোমার জন্য আকুল হবো না।


তোমার মনে আমার জন্য কখনও ভালোবাসা দেখিনি,
আগে যদি বুঝতে পারতাম তবে এতোদিন
তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকতাম না,
যখন জানলাম, তুমি খুব দ্বিচারিণী কিংবা তারচেয়ে বেশি,
তখন আর বিলম্ব করিনি, ঘুরে দাঁড়িয়েছি একঝটকায়,
মনটাকে সান্ত্বনা দিয়েছি খুব করে, আর বুঝিয়েছি মনটাকে
নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি কখনও লোভ করতে নাই।
জানিস না মন তুই? নিষিদ্ধফল ভক্ষণ করতে গিয়ে
আমাদের পিতামাতা হাতছাড়া করেছেন মহামূল্যবান বেহেশতো!
তুই সয়ে যা মন—তোকে যে আরও কত সইতে হবে এভাবে।
আর তুই জানিস না মন? পৃথিবীতে কী চলছে এখন?
আমাদের অবোধ মন হয়তো এখনও জানে না—এখনও বোঝে না:
পৃথিবী শুধু শয়তানের—এখানে মানুষের জন্য ভালোবাসা খুবই কম।



সাইয়িদ রফিকুল হক
পূর্বরাজাবাজার, ঢাকা,
বাংলাদেশ।
১৪/১০/২০১৭