বোকারাম ধোকা খায়
বাস করে বন গাঁয়
বোকারামের মুখ হাড়ি
যেতে চায় শ্বশুর বাড়ি।


শ্বশুর বাড়ি নাই তার
তবু ধরে আবদার
মা বলে যাবি যা
পথ হারিয়ে খাবি খা।


কি নিয়ে যাই শুশুর বাড়ি
মা বলে দাও তাড়াতাড়িঁ?
রাগে মায়ের মাথা হিম
কি আর নিবি ঘোড়ার ডিম?


বোকারাম হাটে যায়
ঘোড়ারডিম কিনতে চায়।
লোকে রাগে ধমকে ওঠে
বোকারাম দৌড়ে ছুটে।


করে নাকি পান দোকানদার
গরু-ঘোড়ার ডিমের কারবার
বলল দিলে পঁচিশ টাকা
ঘোড়ার ডিমের পাবে দেখা।


বোকারামের টাকা নিয়ে
পান দোকানদার হাটে গিয়ে
তরমুজ একটা কিনে পাকা
বোকারামকে দিলে ধোকা।


কোথায় যে বা শ্বশুর বাড়ি
নাক বরাবর তাড়াতাড়ি
হাটতে থাকে ফাঁকে ফাঁকে
লুকিয়ে যেন দেখে কাকে!


খালের মাছ জলের উপর
লাফিয়ে উঠে ঝুপুর ঝুপুর
তরমুজ রেখে আলের ধারে
বোকারাম মাছ ধরে।


কোথা থেকে খেকশিয়ালে
তরমুজেরই ঘ্রাণ পেলে,
ভেঙ্গে করে খেতে শুরু
বোকা বলে আহা গুরু!
ঘোড়ার ডিমে ঘোড়ার বাচ্চা
ডিমটা একেবারেই সাচ্চা।


ধরতে গেল ছোট্ট ঘোড়া
তাকে কি আর যায়রে ধরা!
বনের ভিতর ছুটে চলে
হরিণেরা দলবলে
এদিক ওদিক ছুটে যায়
বাঘের ঘুম টুটে যায়।


বোকা বলে এটা বা কি?
ঘোড়া বড় হল নাকি!
লাফিয়ে ওঠে বাঘের পিঠে
বাঘ মামা ভয়ে ছুটে।


বোকা বলে মজা ভারি!
ঘোড়ায় যাব শ্বশুর বাড়ি।