এই নিঝুম নিরালায়
রুপালী মেয়ে হেসে কুটি কুটি হয়
সে হাসি লুটিয়েছে বনময়
দেখেছে সবাই অস্ফুট কলিকায়।


বাদলের জলে নাহিয়া
সে যে ওঠে গান গাহিয়া
চক্ষে তাহার অবিরাম জল-ধারা
যেন সে হয়েছে চির বাঁধন হারা।


কোন অবোধ চেতনার অপেক্ষায়
সে লিখেছিল রঙ্গিন চিঠি
অচেনা ঠিকানায় ভাসিয়ে দিয়েছে
জানিনা সে কোন হতাশায়।


লাল খামের ভেতরে পুরে
চিঠিখানি ছেড়ে দিল অচিনপুরে
ভেবেছিল হয়ত সে; যে পাবে
সে হবে তার আপন চিরতরে।


জানিনা তার চিঠি ভিরিবে কোথায় যেয়ে
সর্ব্নাশ নাকি মহাকালের আলোর পানে যাচ্ছে ধেঁয়ে
না জানি কখন কোন অজানা আশংকায়
আর্তনাদের গান সে যাবে গেয়ে।


রঙ্গিন চিঠি রঙ্গিন খামে
বিলিয়ে দিয়েছিল অনেক দামে
ভেবেছিল পাবে সুন্দর এক ফুল
কিন্তু হায়; এযে ছিল তার বড় এক ভুল।।