লিলি, সত্যি বলছি, আর দাঁড়াব না তোমার বন্ধ জানালার পাশে,
প্রতিদিন সকালে লুকিয়ে লুকিয়ে তোমার চা খাওয়াটাও দেখবনা,
পড়ন্ত অবেলায় তোমার ভেজা চুল শুকানো তোয়ালেটা আর চুরি হবেনা,
তাতে নাক ডুবিয়ে তোমার নরম চুলের সুবাসী ঘ্রান নেবনা লিলি,
সত্যি বলছি, আর কাঁচা হাতে লিখে পাঠাবোনা, ভালবাসি ভালবাসি।


বিকেলে ছাদে বসে তোমার সারেগামাপা শুনবনা একদম, কথা দিলাম,
পাড়ার মোড়ের বাবুল কাকাকে বলবনা তোমার ঝালমুড়িতে ঝাল বেশি দিতে,
তোমার ঘুমন্ত চেহারাটা দেখব বলে ভর দুপুরে আর দরজায় কড়া নাড়বনা,
বারান্দায় ছুটোছুটি করতে থাকা তোমার খরগোশটাকে আর চুরি করবনা লিলি,
সত্যি বলছি, আর তোমার সিঁড়িকোঠার দেয়ালে লিখে রাখবনা, ভালবাসি ভালবাসি।


লিলি, সত্যি বলছি, আর তোমার রাঙ্গা ঘুড়ি কাটবো না মাঞ্জা সুতো দিয়ে,
তোমার পিছু পিছু কলেজ অবধি পথটা লুকিয়ে ছাপিয়ে হেঁটে যাবনা,
তোমার ফেলে দেয়া ভাঙ্গা চুড়িগুলো কুড়িয়ে সযত্নে বামসাইডের বুকপকেটে রাখবনা
তাতে হৃদয়টা ক্ষতবিক্ষত হলেও বলবনা, এসে দেখ কতটা ভালবাসা রক্ত হয়ে ঝরে
সত্যি বলছি, আর জানালায় সন্ধ্যাবেলায় টোকা দিয়ে বলবনা, ভালবাসি ভালবাসি।


ঘুমের ঘোরে আর অবচেতন মনে তোমার নাম জপবনা একদম, কথা দিলাম,
ছেঁড়া স্যান্ডেল পায়ে জড়িয়ে আর দৌড়াবনা তোমার ছুটির বাসটার পিছনে,
তোমার বাবার টিটকিরি, মায়ের মুখঝামটা আর ভাইয়ের রক্তচক্ষু সইবনা আর,
তোমার নাম্বারে আর ডায়াল করবনা, শুনতে চাইবনা তোমার মধুঝরা কণ্ঠটা,
সত্যি বলছি, আর আসবনা ফিরে, শুধু একবার আমার কবরের পাশে এসে বলো,
ভালবাসি ভালবাসি!