মাইলকে মাইল পথ পাড়ি দিয়ে তোমার আঙ্গিনায় এলাম সূর্যাস্ত দেখব বলে
          রক্তিম সূর্যের রক্তক্ষরণ থামাতে মেঘ তারে ঢেকে দিল মিহি চাদরের তলে,
দেখা হলনা আমার সূর্যাস্ত, যেই গোধূলীবেলায় তোমার নীল শাড়ি দোলে-
          এলোমেলো চুলে যেখানে বসন্তবাতাস মেলা করে, কলরবে ভরে যায় সন্ধ্যা।
আমি দৌড়ে এলাম পৌষ-ফাল্গুনের আঁকাবাঁকা পথ মাড়িয়ে, অনেক দূর থেকে
           যেখানে নিশিরাতের নক্ষত্রপুঞ্জ পাহারা দেয় রুপালী চাঁদনীর ঝলসানো রুপ,
মর্মর পাতার উপরে শুয়ে রইলাম নিষ্পলক, আর আগুনজ্বলা ফুলকি উড়ল-
           ছাইয়ের নিচে চাপা পড়ে গেল আমার গভীর থেকে গভীরতর দীর্ঘশ্বাস।
তবুও দেখা পেলাম না সেই মায়াবী চোখের, যে চোখে শিশিরসিক্ত ঊষা নামে
           যেখানে জোড় শালিকের প্রণয় দেখে দিনমান শুভ হয়, রৌদ্র ঝরে বৃষ্টির মত,
উল্কাপতনের অপেক্ষায় আমি প্রহর গুনি, তখন চোখ বুজে চাইব তোমাকে-
           যেখানে তুমি পদ্মফুল আর আমি বাসি শিশির, কিভাবে ঝরে পড়ে গেছি অকালে,
আমার দেখা হলনা, কীভাবে আমার হাত ছেড়ে দিয়ে তুমি হারিয়ে গেলে দূরে,
           মাছের অপ্রতিভ চোখের প্রতিচ্ছবিতেও তোমাকে দেখার আকাঙ্ক্ষা মিশে রয়েছে;
তবুও তুমি চাদরে শরীর জড়িয়ে পালিয়ে গেলে, তোমার মুখ দেখা হলনা।