অবশেষে মৃত্যুদূতকেও মরে যেতেই হয়,
মৃত্যুর সীমারেখা পেরিয়ে যেতে চায় মৃত্যুদূত নিজেও।
ঢেউহীন কোন নদী, বুকে যার নেই কম্পন,
বাতাসের দোলা নেই, নেই আর আঁধারের ক্রন্দন।
ব্যথার অনুভূতি নেই, নেই কোন শূন্যতারা,
মাটির নিরবতা নেই, নেই কোন স্বজনহারা।
চতুর্দোলায় চড়ে দোল দেই হৃদয়ের জলে,
পাওয়ার নেই তো কিছু, তবু সব পাওয়ার ছলে।


মধ্যাকর্ষণ নেই, আকাশের বুক চিরে বেরোয় আকাশ,
কৃষ্ণগহ্বরও শক্তিহীন, ছাড়ে শুদু দীর্ঘশ্বাস।
বিকট শব্দে বিদীর্ আকাশের পিছন থেকে
ছুটে আসে একরাশ ছায়াহীন ধোঁয়া,
তামায় গলিয়ে সিসা, পেতে দেয় জ্বলন্ত ইটের খোয়া।


পিনপতন নক্ষত্র স্তব্ধ পৃথিবীতে বাকি থাকে একটি ছায়া
জনক-জননী, কন্যা-জায়া কেউ নেই,
নেই কোন অভিনীত মায়া।


ভূপৃষ্ঠ ভূমিষ্ঠ করে তপ্ত লাভার স্রোত
সুনসান নিস্তব্ধতাকেও ভাসিয়ে নিয়ে যায়
সীমাহীন পোতাশ্রয়ের গর্ভে।


গোলাপি আকাশ তাই ডেকে ডেকে ক্লান্ত হয়ে শেষে
ফিরে চলে অজানায়, মৃত্যুদূতের লাশের বেশে।