কাজীবাচা নাম করে আছে এক নদী,


কল-কল, ছল-ছল বহে নিরবধি।


নদীর বুকেতে খেলে ছোটো ছোটো ঢেউ,


কেন এই ছেলেখেলা নাহি জানে কেউ!


ছেলেবেলা থেকে দেখি শুধু চলেছে ধেয়ে,


সব বাঁধা পেরিয়ে আঁকা-বাঁকা পথ বেয়ে।


দিন-রাত অনায়াসে বয়ে চলে সে,


কেন এই বয়ে চলা তাহা জানে কে!


কত শত ছোটো যান তালেতে তাল মেলায়,


সারাবেলা স্রোতে ভেসে তীরে ফেরে অবেলায়।


দিন শেষ হলে পরে সবাইতো ঘরে ফেরে,


তবু সেই ছোটো নদী একাকিই ছুটে মরে।


কোথা হতে শুরু তার কোথা তার শেষ,


জানিনাতো কোনো কিছু তবু লাগে বেশ!


গাঙচিল, সাদা বক ওড়ে নিশি অবধি,


সত্যি, চমৎকার আমাদের ছোটো নদী!


দুই ধারে বালুচর তার পারে খোলা মাঠ,


দিনভর কোলাহলে মেতে থাকে খেয়াঘাট।


খুব ভোরে দেখেছি গিয়ে নদী তীরে,


সূর্যের জেগে ওঠা নদী বুক চিরে।


বহু বার একা একা নদী তীরে বসেছি,


নদী আর আকাশকে মিশে যেতে দেখেছি।


নদী চরে খালি পায়ে বহু বার হেঁটেছি,


ঢেউ ধরে ভেসে আসা কড়িগুলো খুটেছি।


শারদীয়া পূজা শেষে ভাসান বা রাসমেলা,


সারাগ্রাম সাথে নিয়ে করতাম জলে খেলা।


মনে বহু স্মৃতি আছে কাজীবাচা ঘিরে,


বারেবারে যেতে চাই কাজীবাচা তীরে।


কাজীবাচা ছোটো নদী, ছোটো হোক ভাই,


আমাদের ছোটো নদী, কোনো জুড়ি নাই।