অনেক দিন পর
রাস্তার লাইট জ্বলছে।
চকচক করছে প্রতিবাদী পোস্টার।
অভয় মাঝির এই উঠোনেই
আনা হয়েছিল অর্ধনগ্ন দেহটা।  
চোখ দুটো খোলা ছিল।
কে ই বা পড়েছে, সে চোখের ভাষা।
সারা দেহে ছিল নরপশুদের
দাঁত আর নখের চিহ্ন।


অভয় মাঝি একবারের জন্যেও
দেখেনি তার প্রিয়াকে..
সকাল থেকে এসেছে অনেক
সহানুভূতি!
ব্যর্থতা ঢাকতে এসেছে চাকরির
প্রতিশ্রুতি।  
অভয় মাঝি বসে থাকে একইভাবে।


মোমবাতি মিছিল শুরু হবে এখন।
সাজো সাজো রব।
মিডিয়া মুখর হয় প্রতিবাদে...
প্রতিবাদ নীরবে অথবা সরবে।
শূন্য দৃষ্টিতে অভয় মাঝি চেষ্টা করে
জীবনের অঙ্ক মেলাতে।
উত্তরমালার পাতাটাই কখন যেন
ছিঁড়ে গেছে অজান্তে!!