দশ বছর পর হঠ্যাৎ কোন এক দিন
দেখা হয়ে গেল রাস্তায়
অকষ্যাৎ,আনমনা, অপ্রস্তুত মুখোমুখি দু’জনে
থমকে দাড়ালাম নাগরিক ব্যস্ততায়।


তোমার চোখের দিকে তাকালাম
আমার ভিতর ঘটে গেলো কান্ড তুলকালাম
তোমার মুখের বলিরেখা দিচ্ছে বয়সের আভাস
আমি আনত তাকিয়ে দেখি আমার পুরানো অভ্যাস।


তোমার নুয়ে পরা স্তন, স্তনের বোটা,
আমাকে মনে করিয়ে দেয় সেই জগৎটা
তোমার সুন্দর গ্রীবা, ছোট্ট থুতুনি, পুতুলের মতো নাক,
নাকের ডগায় জমে থাকা ঘাম
সব কিছুর মূলে আছে শুধু একটাই বস্তু, শুধুই কাম।


অথচ এখন সব কিছুই মলিন!
তোমার চোখের কাজল সেই কবে লেপ্টে গেছে
একটুও ভ্রুক্ষেপ নেই সে দিকে তোমার
অথচ দেখো, আমি এখনো তোমার জন্য সতেজ তাজা প্রান
এই বুকের মধ্যে যত্ন করে রেখেছি বকুল ফুলের ঘ্রান।


তোমার মনে নেই?
সেই যে প্রথম দেখায় তোমায় বকুল ফুলের মালা দিলাম
তোমার দু’চোখ ভরা আনন্দ সেদিন আমি দেখেছিলাম
আমি আজো তোমার জন্যে নিজ হাতে বকুল ফুলের মালা তৈরী করি
জানি, আমার ধবংসের পথ আমি এইভাবেই গড়ি।


তোমার মলিন মুখখানি......, আহা......,
যে মুখখানি আমি আমার করতলে নিয়ে বলতাম “তুমি আমার সোনামনি বৌ”
তুমি লাজুক হাসিতে তোমার মুখখানা আমার বুকে গুজে দিতে
এক তীব্র সুখ অনুভব করতাম এইবুকে
আজ সেখানে শুধুই হাহাকার, গুমড়ে কাঁদায় আমাকে।


দশ বছর তো কম সময় নয়!
তবুও দেখো কেমন মসৃন মনে পড়ে যায় আমার সেইসব অক্ষত স্মৃতি
তুমি আমার পাশেই দাড়িয়ে, অথচ অনভ্যাসে অনভ্যাসে
তোমাকে এখন আমার অনেক দুরের মনে হয়।


তুমি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছো,
কিছু একটা বলার চেষ্টা করছো অথচ বলছো না,
আমি তোমার মুখের ভাষা পড়ার চেষ্টা করছি, বলবে কিছু? প্লিজ বলো?
আমি শুনতে চাই সেই কথাটি,
তুমি শুধু একবার বলো “সম্‌ আমায় আবার ভালোবাসবে?
সম্‌ আমাকে তোমার বুকে একটু ঠাইঁ দেবে?”
তারপর দেখো কত যত্ন করে আমি তোমাকে ভালোবাসি
কত শক্ত করে আমি তোমায় এই বুকে বেধে রাখি।


একটু পরেই আমি সম্বিত ফিরে পাই, তুমি বলছো “যাই তাহলে”।