বহুবর্ষ পর দেখা হবে যখন কোনো অজানা পথে,
তুমি আর আমি নব-রথে, সম্পূর্ণ বিপরীতে।
তুমি তখনও এমনই রুপসী, যেমন রুপালী দ্বীপে
এখন জ্যোৎস্না ঝড়ে ভরা পূর্ণিমার রাতে।
তোমার পায়ে তখনও নূপুরের ছন্দ বাজে
যেমন আষাঢ়ের অবিরাম মুষলধারের মাঝে।
তুমি সেদিনও কাজল দিবে, বিলাশী নয়নদ্বয়ে!
শ্রাবণের আকাশে যেদিন এক-পশলা কালো মেঘে
তোমার দীর্ঘ কৃষ্ণ কেশে সেদিনও থাকবে ছেঁয়ে।
প্রিয়তম, হয়তো তুমি সেদিন চিনবেনা আমায়
ভুলে যাবে সেদিনের চেনা চোখ, আজও অশ্রু গড়ায়।
হয়তো হারিয়ে যাবে চিরচেনা সেই হাসি,
শুনবে না বুনো কাঁশবনে, স্নিগ্ধ সুরে পাতার বাঁশি।
প্রিয়তম, হয়তো সেদিন লেখা হবে না কোনো কবিতা
দেখানো যাবে না ধুলো পড়া মনের আকাঁ ছবিটা,
হয়তো বলা হবে না জমে থাকা হৃদয়ের মর্মকথা,
হয়তো কিছুই হবে না কেউ কিছু বলব না।
নীরবে নিভৃতে কেটে যাবে হঠাৎ পাওয়া কিছু স্বপ্নক্ষন
কিছুটা নস্টালজিক হবো হয়তো , চোখে-চোখ পড়বে যখন।
তবু বেশি কিছু চাইবো না আমি তোমার কাছে
যতদিন তোমার স্মৃতিগুলো আমার সেলফ এ পড়ে আছে।
ঠোঁটের কোণে মিষ্টি মুচকি হাসি যেনো থাকে তখন
প্রিয়তম, বহুবর্ষ পর আবার দেখা হবে দুজনে যখন।