আনমনা কলম হাতে
            বসেছিলাম নদীর বাঁকে,
মোহনায় ললনা বসে
               আগে কোথাও দেখেছি তাকে।


ও হে সেইতো আমার স্বপ্নের রাণী
                স্বপ্নে আসে প্রতি রাতে,
নির্বাক আমি তার মায়াতে
                 কত চলেছি হাত রেখে হাতে।


এইতো সেদিন ভোর বেলাতে
               দিগন্ত দেখতে চললো সাথে,
ভেসে যাবে মেঘের দেশে
               শীতল আবির মাখবে তাতে।


কুয়াশাকে পাহারায় রেখে
                তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে,
আমার হাতে হাতটি চেপে
               মনকে আমার দিল রাঙ্গিয়ে।


মেঘের দেশে সাজানো বাগান
                ফুলে ফুলে নীড় স্বর্গের,
সাদা মেঘ কালো মেঘ
                ভুলে গেলাম ধরণী দৈর্ঘ্যের ।


লাল ফুল,নীল ফুল,কালো ফুল
               তুলতে গেলাম গোলাপ ফুল,
ফুল ছিঁড়োনা মলিন মুখে
       মায়াময়ী বলল করছো কেন ভূল?


ভূল কি তাতে সুধালাম আমি
              তুলতে ছিলাম দিতাম খোঁপায়,
আমিই তো ফুল, ছিঁড়ছো আমায়?
                কত বুঝাবো সুধাই আমায়।


অপলক চাহনীতে তুষ্ট আমি
               মায়াময়ী ছিল প্রকৃতি প্রেমি,
তাইতো এত ভালবাসি
             সবচেয়ে তুমি বেশি দামি।


তন্দ্রা ছিলে স্বপ্নে তুমি
         ডাকলাম বাস্তবে তুমি তন্দ্রা?
অবাক হয়ে দেখল চেয়ে বলল
            চিনিনাতো আপনায়, ছাড়োন নিদ্রা।


তুমি আমার স্বপ্নের রাণী
             তাইতো তোমার নামটি জানি,
পাগল বলে চলে গেল
              মায়াময়ী তুমি সেতো জানি।