ঘড়ি থেকে ব্যাটারি খুলে ফেলে ভেবো না, সময় থেমে যাবে।
কারণ, সময় তো ঘড়ির জন্যে নয়, সময়ের জন্যেই ঘড়ি।
তেমনি ভেবে দেখো, তোমার জিঘাংসু আঘাত- সত্যের নিশানবাহীকে
হয়তো থামাতে পারে, কিন্তু সত্যকে নয়।
কেননা, নিশানবাহী তো সত্যকে তৈরি করে না,
বরং, সত্যই নিত্য নতুন অভিযাত্রী তৈরি করে।
তুমি ক'জনকে বধ করবে? তোমার এই পলকা জীবনে?
তুমি কি জানো না, প্রতি ফোঁটা রক্ত সত্যকে জন্ম দেয়?
আর সত্য জন্ম দেয় নতুন পথিক।
এভাবে কালে কালে সত্যের নবায়ন হয়।
সত্য ছড়িয়ে পড়ে শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে; প্রতিটা পাড়ায়, মহল্লায়,
অলিতে, গলিতে।


অথচ, তুমি চাইছ, সত্যকে চাপা দেবে!
কিন্তু, তোমার বিনাশ সাধনই যে সত্যের এক শ্বাশ্বত অধ্যায়!


আর সে সময় তো আসবেই!
ঘড়ি আছড়ে ভেঙে ফেললেও আসবে।


তাই তো! সে দিনের প্রতীক্ষায় আজো জেগে থাকি।
সত্যের সেই সত্য রূপ দেখবার জন্যে।