আমি তপন দাস,
পিতা : শ্রী অরবিন্দ দাস।
জন্ম : ১৯৮০ সালের ২৯ শে জুন ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ-র এক প্রত্যন্ত গ্রাম কালুপুরে।  


     আমি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি তখন থেকেই কবিতার সংগে আমার প্রেম। 'দেশের অবস্থা' নামে একটি কবিতা আমার, কালুপুর পাঁচপোতা উচ্চ বিদ্যালয়ের পত্রিকা 'দিঠি'তে প্রথম প্রকাশিত হয়।  স্যারেদের খুব প্রশ্ংসা পেয়েছিলাম । সেই লেখা শুরু। তারপর থেকে অনেক পত্র পত্রিকায় আমার লেখা কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়। খুব অনুপ্রাণীত হতে থাকি। ব্যাঘাত ঘটে যখন আমি গণিতে সান্মানিক নিয়ে বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে পড়ি। এক দিকে পড়ার চাপ অন্যদিকে বাবার অসুস্থতা। স্ংসারের চাপ পড়লো আমার ঘাড়ে। ব্যস! চোখে অন্ধকার দেখতে থাকি। কবিতা লেখা মাথায় উঠলো! সকালে-বিকালে টিউশনি পড়াতে থাকি। তার পর দ্বিতীয় বর্ষের প্রথমেই অপ্রত্যাশিত ভাবেই ভারতীয় ডাক বিভাগে পেলাম ছোট-খাটো একটি চাকরী। হাতে স্বর্গ পেলাম। সেই কর্ম জীবনে প্রবেশ। অল্পতেই খুশী হলাম। পড়া শুনার পাশাপাশি আবার লেখা-লেখি শুরু করলাম। আমাদের বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের একটি স্ংগঠন 'দীশা' গড়ে ফেললাম। বছরে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতাম। সম্পাদক আমি। পত্রিকার নাম 'সেতু"। বর্তমানে 'সেতু' পরিবর্তিত হল  মাসিক 'জনচেতনায় হিন্দোল' নামে। সম্পাদক এই অধম!
'জনচেতনায় হিন্দোল' একটি সমাজ সচেতনতা মূলক মাসিক সাহিত্য পত্রিকা।


     বনগাঁ, ভারতের স্বাধীনতার দিন পর্য্ন্ত এটি বাংলা দেশের অন্তর্গত ছিল। পরে ১৮ ই আগশ্ট বনগাঁ ভারত-এর অন্তর্গত হয়।


    বর্তমানে আমি বনগাঁ মুখ্য ডাক ঘরে চাকুরী করি। পাশাপাশি 'উনাই নেতাজী সেবা প্রতিষ্ঠান' নামে একটি স্বেচ্ছা সেবি স্ংগঠনের সহ সভাপতি।