তখন অনেক ছোট আমি
সময় ছিল অনেক-
ব্যস্ততা চঞ্চলতা গ্রাস করেনি
আমাকে- খেলতাম ফিরতাম
ছুটতাম অবাধ্য গতিতে,
কোন পিছুটান ছিল না।


খেলতে খেলতে এক অদ্ভুত
প্রাণীকে দেখলাম-
একটি নয়- একদল।
একটি লোক তাদের নিয়ে
চড়ে বেড়াচ্ছে পথে-ঘাটে-মাঠে
আর তার মুখে অদ্ভূত এক শব্দ
হুট-হুট,হুর-র-র-র-রে


বেশ মোটা-সোটা, নাদস-নুদুস ছেহারার
প্রাণীগুলি নোংড়া আবর্জনা ঘাটছে
আর কচু-ঘেচু যা পাচ্ছে খাচ্ছে।
খাচ্ছে মাটির বুকের প্রাণী কেঁচো।
কেঁচো চাষীর বন্ধু।
মূহুর্তের মধ্যে পুরো জায়গাটা
খুঁড়ে-ফুঁড়ে-চষে
একেবারে হুলুস্থুল!


বাড়ি ফিরে জানতে চেয়েছিলাম মা’কে
ঐ প্রাণীগুলির নাম।
মা বলেছিলেন,বরাহনন্দন।
জিজ্ঞেস করেছিলাম-
ওরা কেন নোংড়া ঘাটে?
মা রান্না করতে করতে বলেছিলেন,
‘ওটাই ওদের কাজ’।


‘ওটাই ওদের কাজ’!
কথাটা আজও ঘুঙুরের  মতো কানে বাজে।
আজও পথে-ঘাটে-মাঠে দেখি
কত শত বরাহনন্দন!
নোংড়া ঘাটা বরাহনন্দন,
নর্দমার নোংড়া ঘাটা যাদের একমাত্র স্বভাব।
যারা নোংড়া মাখে,অন্যকে নোংড়া মাখায়।
তারা কেঁচু-কচু খায় কিনা জানিনা
তবে...


‘ওটাই ওদের কাজ’!
বরাহনন্দন!
দ্বি-পদী বরাহনন্দন!