ছায়া পথ ধরে চলে আমার সপ্নের যাত্রা,
কালপুরুষ,সন্ধ্যাতারা বা সপ্তর্ষিমন্ডল-
স্বর্গের সন্ধানে,
স্বপ্নের অনন্ত তরনী ভাসমান।


স্বপ্নের তরনী ভাসতে ভাসতে
পৌছে গেল কালপুরুষ
দেখা পেল দ্রোপদীর,
তখনও অগ্নিকন্যার সিক্ত নয়ন
এলোকেশি আলগা বসনা হতভম্ব,
যাজ্ঞসেনি অস্ফুট স্বরে বলে ওঠে
''....হায়রে পান্ডব....''
হাত দু'খানি বক্ষ স্পর্শ করা মাত্রই
উপরে উঠে যায়,মুদিত নয়নে
হৃদয় থেকে ঝরে পড়ে-
''হে দীনবন্ধু, জগৎ পতি- রক্ষা করো''।


স্বপ্নের ভেলা পৌছে গেল
সন্ধ্যাতারার সংসারে
অসংখ্য নক্ষত্রের  ভীড়ে-
সুসজ্জিতা হতাশ নয়না
জনক কন্যা সম্মুখে-
তখনও তার চিবুকে অশ্রুদাগ স্পষ্ট।
বুক চাপড়ে বলে ওঠে-
''...মেদিনী চৌ্চির হও...
আমাকে তোমার বক্ষে স্থান দাও...'
....বিদায় রাম রাজ্য...''
স্বপ্নের জয়গান থেমে যায় মুহুর্তে।
তীব্র মেদিনী কম্পের তান্ডবে।
নির্লিপ্ত রাজ্য বাসীর নিজ ঘরে পদার্পন।


স্বপ্নের ভেলা দ্রুতগামী।
কখন যেন পৌছে গেছে সপ্তর্ষি মন্ডলে।
ছিন্ন ভিন্ন পার্বতীর দেহাংশ।
তান্ডবলীলায় ব্যস্ত মহাদীদেব।
ছিন্ন মস্তক,
দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হাত দু'খানি
করজোড়ে বলে ওঠে-
....পিতা আমার স্বামীকে অপমান করোনা
শতদোষে দুষ্ট হলেও
....উনি আমার স্বামী..''


স্বর্গে পৌছে গেল স্বপ্নের ভেলা-
এ কী!
কে তুমি নারী !
"আমি যাজ্ঞসেনী"
"আমি জনক কন্যা সীতা"
"আমিই পার্বতী''


এক দেহে এত রুপ- মাগো!
কিন্তু, তুমি কেন মা!
তুমি তো যুগে যুগে বারে বারে
লাঞ্ছিত, অপমানিত...


"আমি যে মা-
দুষ্টের দমনে আমারই ডাক পড়লো বাবা..."
আমার স্বপ্নের ভেলা দুলে উঠলো
চারি দিকে নক্ষত্রের আলোয় ঝলমল
সারা শরীর কম্পন দিয়ে,
হৃদয় থেকে বেরিয়ে এলো
বিশ্বরুপেন সংস্থিতা।


রচনাকাল; ২৮/১০/২০১৫