বন্ধুরা, আশা কবি সকলেই ভালো আছেন। আপনাদের ভালোবাসা আর আসরের টানে প্রিতি বুধবারের মতো চলে এলাম অতিথি আলাপনে, তবে আজ ব্যক্তিগত কারনে একদিন পরে এলাম। এই আলাপন অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলের স্বাগত।


        তাহলে বন্ধুরা চলে আসি আজকের অতিথির কাছে। আমাদের আজকের আলাপনের অতিথি হলেন আমার আপনার আমাদের সকলের প্রিয় কবি বালুচর । বন্ধুরা আর বিলম্ব নয় শুরু করি কবির সাথে কথোপকথন। আপনারাও সরাসরি প্রশ্ন করুন আমাদের অতিথি কবির কাছে।


============================================
১. নমষ্কার প্রিয় কবি। কেমন আছেন বলুন? কেমন চলছে আপনার লেখা-লেখি?
============================================


কবি বালুচরঃ=
********
অনেক ধন্যবাদ। ভাল আছি। এইতো চলছে নিয়ম মেনে অনিয়মিত।


============================================
২. প্রিয় কবি,
               আপনার জন্মস্থান, কর্মস্থান সম্পর্কে আমাদের আসরে কবিদের
যদি বলেন। আপনি আপনার নিজের কথা বলুন, মানে আপনার বাড়িতে কে কে আছেন?
তারা কে কি করেন?  আপনি কি করেন? ইত্যাদি, ইত্যাদি।
============================================


কবি বালুচরঃ=
********
সিলেট, বাংলাদেশ। পেশায় আইনজীবী।সিলেট জজ কোর্টে প্রাকটিসরত। বিবাহিত, স্ত্রী স্থানীয় এক হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা। কোন সন্তানাদি নাই। আইন ব্যবসা ছাড়া আমি আর কিছু করিনা।


============================================
৩. আপনার কর্ম ব্যস্ততা সরিয়ে আপনি কিভাবে কবিতা লেখেন? আপনি কখন কবিতা
লেখেন? কবিতার পাশাপাশি আপনি অন্য কি কি ধরনের লেখালিখি করেন? কবিতা
লেখার ব্যাপারে আপনার কি কি অন্তরায়? আসরের নতুন কবি বন্ধুদের ভালো কবিতা
লেখার কি কি টিপস দেবেন?
============================================
কবি বালুচরঃ=
********
আমার পুরো নাম “এমদাদুল হক”। “বালুচর” নামে ব্লগ/ফেবুতে লেখালিখ করি।ইতোমধ্যে আমি দু’টো ছড়ার বই প্রকাশ করেছি। ১মটি “দ্রোহকাব্য” আর ২য়টি- শিশুতোষ “চিচিং ফাঁক” ।আইন পেশা সত্যি জটিল আর শ্রমসাধ্য।লেখালেখি হয় মনের টানে। তাই পেশার ব্যস্ততা আমার কাছে অন্তরায় বলে মনেহয়না।তাছাড়া সব সময় লেখাও যায়না। যখন কোন প্লট বা ভাবের উদ্রেক হয়, তখন কাগজে অথবা মোবাইলে দু’ছত্র লিখে রাখি। অতঃপর সময় পেলে ল্যাপটপ হাতে লিখতে বসি(আমি আবার হাতে লিখিনা)। আমি একবারে (এক সিটিং এ সর্বোচ্চ ৭টা ছড়া/কবিতা লিখেছি) ২/৩টা ছড়া/কবিতা লিখে যেতে পারি। অন্যের বেলা কি হয় জানিনা, তবে আমার বেলা অনেক সময় বিছানায় যাওয়ার পরও মাথায় কিছু আসলে উঠে টুকে রাখি বা সম্পূর্ণ করে ফেলি। নতুবা হারিয়ে যায়। তাছাড়া ইচ্ছে করে অর্থাৎ প্লান করে চেষ্টাতেও কিছু লেখা হয়ে ওঠেনা। সুতরাং আমার পরামর্শ হলো, জোর করে লেখার চেষ্টা করে কোন লাভ নেই।


============================================
৪. আপনি কাউকে কবিতা লেখার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন? আপনার প্রেরণায়  কি
কখনো কেউ এই সাইটে এসেছেন? আপনি কিভাবে অন্যের থেকে অনুপ্রেরণ আশা করেন?
============================================
কবি বালুচরঃ=
********
না, সে দুঃসাহসও আমার নেই। কেননা, কবিতা বা লেখালেখি গভীর মনযোগ অধ্যাবসায়ের ব্যাপার। কাউকে পরামর্শ দিলেই যে সে লেখিয়ে হয়ে যাবে, তা নয়। তবে হ্যাঁ কেউ স্বপ্রণোদিত আর অনুপ্রাণিত হলে অন্য কথা। এই দেখুন, আমার বয়স ৬০ ছুঁই ছুঁই। ছাত্র জীবনে কবিতা এসেছিল, কিন্তু পরিচর্যা করিনি। তাই হারিয়ে যায়। অতঃপর ছড়া-পদ্য মাঝেমধ্যে পড়তাম। কিন্তু কবিতা নয়। কিন্তু এই বয়সে আবার ফিরে এলো এবং সঙ্গী হয়েই আছে। ফিরে আসার কাহিনীও খুব অদ্ভুত। আমার স্ত্রী “আয়েশা আহমদ” তার কৈশোর থেকেই কবি। ও মূলতঃ গল্প লিখতো। এ জীবনে তার প্রচুর গল্প বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। গত ২০১১ সালের শেষে মাসখানেকের জন্য আমি বিলেত গিয়েছিলাম।জানুয়ারির মাঝামাঝি প্রত্যাবর্তন করি। এসে দেখি আমার স্ত্রী “প্রথম আলো ব্লগ” নামক ওয়েভ পেইজে কি যেন পড়ছে। জিজ্ঞেস করতে বললো, ওখানে নতুন পুরাতন কবির গল্প কবিতা পোস্ট করা যায় এবং সে নাম রেজিস্ট্রেশন করেছে। তার কথা শুনে ২/১ দিন দেখলাম এবং পড়লাম। আর মজাও পেয়ে গেলাম। ভাবলাম, দূর! এখানে কে কাকে চেনে, কে কোথায় থাকে। তাই এতে লিখলেতো মান যাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আমিতো তাল, লয়, ছন্দ, মাত্রা কিছুই জানিনা। তবু লিখে ফেললাম-ছড়া।
মন্তব্য আসতে লাগলো(ভালমন্দে) পড়ে দেখলাম এবং বুঝতে পারলাম আমি কবিতার ব্যাকারণে কাঁচা। তবে কেউ কেউ উৎসাহ দিতে কার্পণ্য করেনি। তাই লেখা চললো। কিন্তু একদিন এক বিশিষ্ট ছড়াকার আমার লেখা নিয়ে কটু মন্তব্য করে বসলেন। আমারও আঁতে ঘা পড়লো। উনাকে (উনি বর্তমানে আমার বন্ধু কবি ও ছড়াকার “বিধুভূষণ ভট্টাচার্য”) এক হাত নিলাম। তারপর আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করে বাজার থেকে বই কিনে এনে পড়তে লাগলাম। আমার ভুল ভাঙলো,বিধু বাবুর কাছে ক্ষমা চাইলাম। সহ-ব্লগারদের আন্তরিক সমালোচনা/পরামর্শে টিকে রইলাম। তবে এখনো আমি কবি হতে পারিনি। বুঝে গেছি, চেষ্টা করে কবি হওয়া যায়না। কবিতাই কবিকে কবি বানায়। এই “প্রথম আলো ব্লগ” না হলে আমি হয়তো কোনদিনও লেখালেখিতে আসতে পারতামনা। তাই আমি প্রথম আলো ব্লগ-এর কাছে চিরঋণী(ব্লগটি এখন আর নাই)এবং সহ-ব্লগারদের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। যাদের সহযোগীতা না পেলে আমি এ পর্যন্ত আসতে পারতামনা।
সুতরাং আমার লেখালেখিতে আসার পেছনে কার অবদান, প্রথম আলো ব্লগ না আমার স্ত্রী না সহ-ব্লগার না আমার নিজের ? হয়তো সকলের সম্বিলিত সহযোগীতা।


============================================
৫. আপনার কাছে কোনটি লেখা সহজ কবিতা না গল্প বা উপন্যাস? কবিতা লিখতে
লিখতে আপনার কখনো কি মনে হয়েছে এর থেকে গল্প লেখা অনেক সহজ? কিম্বা কবিতা
লিখতে লিখতে কোন গল্পের জন্ম হয়েছে  কি?
============================================
কবি বালুচরঃ=
********
গল্প বা উপন্যাস লেখার জন্য প্রচুর সময়ের প্রয়োজন। সেই পরিমান সময় আমার কাছে নেই। তাই মাত্র ১টি ছোটগল্প (সে ১৯৮৩ সালে লিখেছিলাম এবং স্থানীয় পত্রিকায় বে-নামিতে ছাপা হয়েছিল) ছাড়া আর কোন গল্প লিখিনি। আর উপন্যাস লেখার চেষ্টা আজও করিনি। যে কোন পরিস্থিতিতে ছড়া কবিতা বা গান আমি লিখতে পারি।যেমন  গাড়ি ড্রাইভ করে করে আমি অনেক ছড়া-কবিতা-গান লিখেছি। কিন্তু গল্প/উপন্যাসে ধারাবাহিকতা অপরিহার্য। সে সময় নেই বলেই চেষ্টা করিনা। আমি চেষ্টা করলে একই বিষয় ৩ ফর্মে, ছড়া-কবিতা এবং গান-এ অনায়াসে রূপ দিতে পারি।
============================================
কবি বালুচরঃ=
********
৬. কবি হিসাবে পাঠকের মন জয় করার সহজ উপায় কি? আপনার মতামত? কবি না
গল্পকার সহজেই পাঠকের মন জয় করেন? আপনার মতামত?
============================================
আমি মনেকরি একজন কবিকে তার কথামালার মাধ্যমে পাঠকের হৃদয়ে দোলা লাগানো ১ম শর্ত। অবশ্য এ কাজটা সহজ নয়।তাই আগে নিজের মনকে হিল্লোল না লাগলে অন্যের মনে ঝাঁপটা লাগে কি করে। কবিকে আগে বিষয়টির সহিত একাত্ব হতে হবে। এখানে বিষয় নির্বাচন কবিতাকে অনেকখানি এগিয়ে নিয়ে যায়। আমরা রবীন্দ্র/নজরুল কিংবা সুকান্তের কবিতাই যদি পড়ি, লক্ষ্য করবেন তাঁরা কিন্তু সময়কে সাথি করে এগিয়ে গেছেন, অমরত্ব লাভ করেছেন। গল্প কিংবা কবিতা/ছড়া বলেন, পাঠকের হৃদয়ে প্রবেশ না করলে লেখা টিকেনা। দেখুন, ছোটবেলা শরৎ বাবুর দেবদাস পড়ে চোখের জল ফেলেনি এমন কাউকে পাবেননা। আবার রবীন্দ্র-নজরুলের কবিতা পড়ে ভাবের সাগরে হাবুডুবু খায়নি এমন পাঠক পাবেন হাতে গোনা। সুতরাং একজন লেখক পাঠক হৃদয় উপলব্ধি করে এগিয়ে যাবেন। সে গল্প কিংবা কবিতা হোক। আবার কেউ কেউ দূর্বোধ্য কিংবা নতুন শব্দচয়নের বেলায় অপ্রচলিত শব্দ গেঁথে কবিতা লিখলেন। কিন্তু পাঠকের তাতে প্রবেশ করার এত সময় নেই। সুতরাং পাঠককে জোর করে নয়। পাঠকের হৃদয় নিংড়িয়ে আবাহ সৃষ্টি করতে পারলেই লেখকের স্বার্থকতা। সে গল্প হোক বা কবিতা হোক।


============================================


৭. বর্তমানে এই অত্যাধুনিক স্মার্ট যুগে সুপ্ত প্রতিভা প্রকাশের ক্ষেত্রে
অন লাইন বিভিন্ন ব্লগ বা সাইটের ভূমিকা সম্পর্কে আপনার মতামত যদি আমাদের
পাঠক কূল কে জানান তো খুব ভালো লাগে।
============================================
কবি বালুচরঃ=
********
এর উত্তর আপনার প্রশ্নের জবাবে বলে দিয়েছি। আমিতো ব্লগের কাছে ঋণী। আমাদের বুঝতে হবে, আমরা গ্লোবাল ডিজিট্যাল ওয়াল্ডে বাস করছি। পৃথিবী এখন আঙুলের ডগায়। এখন কর্মব্যস্ত সবাই। অফুরন্ত সময় কারো নেই। তবে আঙুলের সময় আছে। তাই বর্তমান সময়ে লেখালেখি জন্য ব্লগের ভূমিকা অপরিসীম। দরুন, টিভি দেখলেই খবর এবং অনেক কিছু দেখা-শোনা হয়ে যায়। তাই কাগজ নিয়ে দস্তাদস্তি করতে আর মন চায় না। কিন্তু একটু ফুরসৎ পেলেই মানুষ মোবাইল নিয়ে মেতে উঠে। সুতরাং আমার মতে আমরা যতবেশি অন লাইনে ঝুঁকে পড়বো তত বেশি আমাদের সাহিত্যের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হবে। তাই বলে কাগুজে লেখা উপেক্ষিত হবে মোটেই নয়। কাগুজে লেখা আদিম এবং টিকে আছে,থাকবে। তাই বলে সার্ভার এক সময় হারিয়ে যাবে, আমি মনে করিনা। বরং দিনদিন নতুন নতুন প্রক্রিয়া উদ্ভাবনে কৃষ্টি-সংষ্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি আশারাখি।


============================================
৮. বর্তমানে প্রতিদিন নতুন নতুন কবি এই আসরে আসছেন ঠিকই তবে অনেক কবিই
কিছুদিন লেখার পরেই এই আসরে তেমন আসছেন না বা আসলেও কবিতা পোস্ট করছেন
না। এর কারন হিসাবে আপনি কি মনে করেন?
============================================
কবি বালুচরঃ=
********
হুম! এ আবার নতুন কি? লেখালেখিতে স্থায়ী না হলে হারিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। দেখুন, একজন নতুন লেখকের পূঁজি বেশি দিন থাকেনা। সে তার সব উজাড় করে দেয়ার পর হাতের কাছে আর কিছুই থাকেনা। আর ইতোমধ্যে তার এক স্টান্ডার্ড বলয় সে অর্জন করে ফেলেছে। অতঃপর এই স্ট্যান্ডার্ডে লিখতে গিয়ে নিজের কাছেই নিজে হেরে যায়। তখন ভাবে, দূর বাবা! এত চিন্তা করার সময় কই? ব্যস ! সটকে পড়ে। কিন্তু সে যদি লেগে থাকে, তবে সে টিকে গেল। তার চিন্তা-চেতনা আর উপলদ্ধির বিকাশে কবিতাই তাকে সাদরে বরণ করবে। তার লেখা পরিপক্কতা পাবে এবং এক সময় যথার্থ শিল্প সৃষ্টি হবে।তখন তৃপ্তিতে অবগাহন করবেন কবি।


============================================
৯. যারা এই আসর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে আপনি কি বলবেন? তাদের চলে যাবার কারন হিসাবে আপনি কি মনে করেন?
============================================
কবি বালুচরঃ=
********
এইতো ভাণ্ডার শেষ। হাতে সময় নেই, ধৈর্যও নেই।আরে বাবা! নিজেকে আবিষ্কার করুন, কাটাছেঁড়া করুন, ঘষামাজা করুন। দু’চার দিনে কেউ কবি হতে পারেনা। হয়তো সে দু’চারটা সৃষ্টি শিল্পের বিচারে উৎকৃষ্ট রচনা।


============================================
১০. এই আসর থেকে আপনার প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি নিয়ে কিছু বলুন।
============================================
কবি বালুচরঃ=
********
এখানে আমার মত নগণ্য যেমন আছেন, তেমনি ভাল ভাল লেখিয়েও আছেন। অনেক উন্নতমানের লেখাও পড়ি। আমি ভাল-মন্দ দু’টোই পড়ি। রস আস্বাদন করি-কাব্যের বিচারে এবং বিষয় বৈচিত্রে।


============================================
১১.
বাংলা কবিতার একাল ও সেকাল নিয়ে আপনার থেকে কিছু শুনতে চাই।
============================================
কবি বালুচরঃ=
********
দেখুন, সাহিত্য নদীর স্রোতের মত। কিন্তু কেউ কেউ সেকালের গণ্ডী অতিক্রম করতে অনাগ্রহী। কিন্তু আমি তা মনে করিনা। সেকাল আমার পূঁজি । একাল আমার ব্যবসা। সুতরাং ব্যবসা ভাল করতে হলে আমাকে উৎকর্ষসাধন করতে হবে, সময়ের স্রোতে ভাসতে হবে। তবেইনা আমি পাঠকের মনজয় করতে পারবো।


============================================
১২. এই সাইটকে আপনি অন্য সাইটের তুলনাই কতখানি উতকৃষ্ট মনে করেন? কেন?
সাইটের উন্নতিকল্পে এডমিনের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলুন?
============================================
কবি বালুচরঃ=
********
যে যে নিয়ম নীতির আলোকে ব্লগ পরিচালনা করছেন সেই বিবেচনায় বাংলা ব্লগ বর্তমান অনেক ব্লগের চেয়ে একধাপ এগিয়ে। নতুন লেখকদের উদ্বুদ্ধ করতে বাংলা ব্লগে সাহিত্যের অন্যান্য বিভাগ খোলা বিবেচনায় নিলে ব্লগ আরো সমৃদ্ধ হবে বলে আমি মনেকরি।


আমি আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম- এতো আর আমার কম পাওয়া হলোনা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাইকে।


============================================
নমস্কার কবি। ভালো থাকুন, ভালো লিখুন।
তাহলে বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত। আগামী সপ্তাহে আবার এক প্রিয় কবির সাথে আপনাদের আলাপ হবে। ততক্ষনে আপনারা আমাদের অতিথি কবিকে প্রশ্ন করুন আর জেনে নিন আপন করে আপনার প্রিয় কবিকে।