একজন বাবা, একজন মা
তাঁদের সর্বস্ব ছেলে মেয়েদের দেয়।
উজাড় করে দেয়।
একশো ভাগ দেয়,
পরে কি হবে তা না ভেবে।


আমি আমার একশো ভাগ তো দূর
সেভাবে কিছুই করিনি তাঁদের জন্য।
যা  করেছি যতটুকু করেছি
আগের পরের ভাবনা ভেবে!


আজ মহালয়া,ভোর রাতে তপর্ণ।
আমি প্রত‍্যেকবার নিয়ম করে তপর্ণ করি
বাবা,মা,পিতৃপুরুষ, মাতৃকুলের সবাইকে জল দিই।
শেষে প্রনাম  করতে করতে,
মা, বাবার কাছে আবদার রাখি,
আমার সব জন্মে,
জন্মে জন্মে আমি যেন তোমাদের সন্তান হই


একা একাই তো কথা বলা যায়!
একা একা নিজের সাথে- নিজে।


এমন দিনে , বাবা আর মাকে ভীষণ মনে পরে।
চোখের সামনে ভেসে ওঠে,
ছেলেবেলা, কিশোরবেলা,বড় হওয়া--
সাত  পাঁচ ভাবতে ভাবতেই,
আজও তপর্ণ করলাম, নিয়মকরে
আগের  মতো।


শুধু বদলে গেল,
আমার আবদার!


মনে মনে প্রনাম করতে করতে,
মা'কে বললাম, জন্মে জন্মে
তুমি আমার মা না হয়ে
মেয়ে হয়ে আসবে।
আর
বাবাকে বললাম,
তুমি আমার বাবা না হয়ে,
ছেলে  হয়ে আসবে।


কেননা আমি জেনেছি,
ছেলে তার মাকে, বাবাকে সর্বস্ব  দিতে পারে না।
কিন্তু,
এক বাবা, এক মা
তাঁর ছেলে আর মেয়েকে সর্বস্ব  দেয়।
উজাড় করে দেয়।
পরে কি হবে তা না ভেবে!