বালিকা তুমি কি চাও?
সকাল-সন্ধ্যা প্রতিটি ক্ষণে
বসে কি ভাব আপন মনে
আমারে তাহা সুধাও।


পুষ্প বাগিচা ফুলের শোভায়
সদা সেজে থাকে বলে
প্রজাপতি আর ভ্রমরের দল
সেথা যায় দুলে দুলে।


প্রমিক যুগল ওই ফুল দিয়ে
ভালবেসে গাঁথে মালা
প্রথম প্রহরে পুষ্প ঘ্রাণে
দুটি মন হয় উজালা।


কি মনহরনি রুপে-অপরুপ
কত রঙে চমকায়
থোকা থোকা ফুলে বাহারি মধু
মৌমাছি লুটে নেয়।


অবাক নয়নে চেয়ে রয় যুবা
তন্বীরা বাসে ভালো
ওই ফুল ঘিরে কত বন্ধন
ভাঙা ঘরে ফেরে আলো।


ভেবেছো কখনো পাপড়ি বিনে
গোলাপের দাম কত
মধুহীন ওই রুক্ষ পরশে
মৌমাছি কভু যেত?


বেগুনি গোলাপ বদন তোমার
আখি দুটি গাঢ় নীল
কামিনী লতায় ঘেরাও চিবুক
নর মনে ছোড়ে ঢিল।


দ্বীপ থেকে দ্বীপ গহীন পাথার
সব ফেলে ওরা আসে
ভরা যৌবন আপনি লুটায়
নয়নে নয়ন ভাসে।


ভুবন ভোলানো ইপ্সিত হাসি
ক্ষণিকের দর্শন
পথ ভোলা সব দুরন্ত প্রানে
জানায় নিমন্ত্রণ।


কন্টকে ঘেরা গোলাপের বাগ
ছড়ায়ে ঘ্রাণের দ্যুতি
ছন্ন ছাড়া আবেগি সকল
দস্যিতে ওঠে মাতি।


ভ্রমরের দল আসবে উড়ে
ঐ মধু আহরণে
বসতে দিও ফুল বাগিচায়
ভ্রমরকে দেখে শুনে।